উত্তরপ্রদেশে ৫০ জন খ্রিস্টানকে ফেরানো হলো হিন্দু ধর্মে, অগ্নিবীর নামক সংগঠনের হাত ধরে হলো ঘর ওয়াপসি

কোনো এক আফ্রিকান নেতা বলেছিলেন, ” যখন খ্রিস্টান মিশনারীরা আমাদের দেশে এসেছিল তখন তাদের কাছে ছিল বাইবেল আমাদের কাছে ছিল জমি সম্পত্তি। কিন্তু কিছু বছর পরে আমাদের হাতে হাতে চলে এলো বাইবেল তাদের কাছে চলে গেল জমিজমা সম্পত্তি।” এখন আরো একবার ভারতবর্ষের খ্রিষ্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণ এর ব্যাবসা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

আগেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রাজনাথ সিং খ্রিস্টান মিশনারিদের এবিষয়ে সাবধান হয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি যেন এখনও কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইংরেজরা যখন ভারতবর্ষে এসেছিল তখন থেকেই ভারতীয়দের খ্রিস্টানে ধর্মান্তকরণ এর প্রয়াস চালিয়েছিল। তবে সেই সময় হিন্দু সমাজ ধর্মের প্রতি বেশি নিষ্ঠাবান হওয়ার কারণে ইংরেজরা দ্রুত সফল হতে পারেনি।

IMG 20200205 170808

তবে সময়ের সাথে থেকে ভারতে ইংরেজদের মেকেলে শিক্ষা বিস্তারের কারণে ভারতের জনগন নিজের সভ্যতাকে সংস্কৃতিকে হারিয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতা সংস্কৃতি প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছে। যার দরুন ভারতে খ্রিস্টান মিশনারিরা ব্যাপকহারে ধর্মান্তকরণ এর ব্যাবসা চালায়। এখন উত্তরপ্রদেশ থেকে একটা খবর সামনে আসছে। যেখানে ৫০ জন খ্রিষ্টানকে সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

উত্তরপ্ৰদেশে ৫০ জন খ্রিস্টান ফিরে এলেন হিন্দু ধর্মে

উত্তরপ্ৰদেশে ফতেপুরের ইন্দ্রো গ্রামে অগ্নিপুর নামক সংগঠন ৫০ জনকে সনাতন হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে এনেছে। এই ৫০ জন হিন্দুকে কিছু বছর আগে হিন্দু থেকে খ্রিস্টানে করা হয়েছিল। সংগঠনটি কয়েক সপ্তাহ ধরে এই অনুষ্ঠান কর্মসূচী চালানোর অপেক্ষায় ছিল। অগ্নিবীর সংগঠন পৈতে সংকল্পের মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শুরু করেছিল। যা দীক্ষা লাভ, শান্তি মন্ত্র ও প্রসাদ বিতরণ দিয়ে শেষ হয়।

IMG 20200205 183706

জানিয়ে দি, ধর্মান্তকরণ এর জন্য বিশ্বের খ্রিস্টান দেশগুলি মোটা টাকা ফান্ডিং হয় যা খ্রিস্টান মিশনারি ও NGO এর হাত ধরে সঞ্চালিত হয়। আসলে ভারতের ভূমি বিশ্বের সবথেকে উর্বর জমি, এটা মাথায় রেখেই সমস্থকিছু পরিকল্পনা করা হয়। তবে বিগত কিছু দশকে হিন্দু সমাজ কোণঠাসা হয়ে পড়ার পর সামান্য কিছু সংখ্যায় সক্রিয় হতে শুরু করেছে।


সম্পর্কিত খবর