নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে মিলল দেড় কেজি সোনা ও বিপুল টাকা, তল্লাশি চালাচ্ছে CBI

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে ফের কাঁড়িকাঁড়ি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছে শান্তিপ্রসাদ সিনহা (Shantiprasad Sinha)। এবার সার্ভে পার্ক এলাকায় তাঁর একটি ফ্ল্যাট থেকে বিরাট অংকের টাকা ও সোনার হদিশ পেলেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছিল সিবিআই। জানা যাচ্ছে, ওই ফ্ল্যাটে দেড় কেজি সোনা ও ৫০ লক্ষ টাকা লুকিয়ে রাখা ছিল। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, দেড় হাজার চাকরিপ্রার্থীর একটি তালিকারও হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকর।

সিবিআই সূত্রে খবর, সার্ভে পার্ক এলাকায় শান্তিপ্রসাদ সিনহা অন্য একজনের নামে এই ফ্ল্যাটটি কিনে রেখেছিলেন। সেখানেই লুকিয়ে রাখা ছিল টাকা, সোনা এবং তালিকা। এ নিয়ে নতুন করে শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিবিআই।

শান্তিপ্রসাদ সিনহা ছিলেন এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান। যে উপদেষ্টা কমিটিকেই অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। শুধু তাই নয়। বলা হয়েছে, এই উপদেষ্টা কমিটি আসলে গঠন করা হয়েছিল সংগঠিতভাবে নিয়োগ দুর্নীতি করার জন্যই।

shanti

এক সময়ে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে পড়াতেন শান্তি প্রসাদ। সেখানকার প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ নেতা ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পরে মানিক ভট্টাচার্য যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের প্রিন্সিপালও হয়েছিলেন। তা ছাড়া বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠনের পর প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন বলে পরিচিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কোনও ভূমিকা নেই। আমি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্বে। ওটা স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিষয়। ওখানে আমার কিছু বলার নেই।’ প্রসঙ্গত, টেট দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকেও আগামীকাল, বৃহস্পতিবারই তলব করেছে সিবিআই।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর