বাংলাহান্ট ডেস্ক: কলকাতা শহরে ইদানিং বেনামি টাকা উদ্ধারের (Money Laundering) ঘটনা যেন বৃদ্ধি পেয়েছে। শাসক দল তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী থেকে মেটিয়াবুরুজের ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। আবারও বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা উদ্ধার হল শহরে।
ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাজার এলাকার দিগম্বর জৈন টেম্পল রোডের একটি ঠিকানায়। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেই ঠিকানায় হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে ৫০ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার করেছে তারা। ঘটনায় অভিযুক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা বাবা-ছেলে জুটি।
এত বিপুল অঙ্কের টাকার বৈধ নথিপত্র দেখাতে না পারায় ওই বাড়ির সামনে থেকে আটক করা হয় তাদের। প্রাথমিক জেরার পর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও তার ছেলে মুস্তাকিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর চণ্ডীহাট এলাকায় থাকে।
প্রাথমিক জেরায় তারা স্বীকার করেছে, কটন স্ট্রিটে একটি সংস্থার দফতর থেকে ওই নগদ টাকা তারা সংগ্রহ করেছিল। গোয়েন্দাদের অনুমান, নগদ লেনদেনের ক্যারিয়ারের কাজ করে আনোয়ার ও মুস্তাকিন। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট নম্বরের একটি ১০ টাকার নোট দেখিয়ে সংস্থার থেকে ৫০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিল বাবা-ছেলে।
তবে তাদের কে বা কারা কাজে লাগিয়েছিল, তা জেরার মাধ্যমে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ধৃত আনোয়ার ও মুস্তাকিনের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন ও ফৌজদারি দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে নিয়ম মেনে আয়কর বিভাগকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দু’মাস আগে গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর ঠিকানায় তল্লাসি চালিয়ে প্রায় ৭ কোটি নগদ টাকা উদ্ধারচ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শহরের বুকে ফের এত বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার যথেষ্ট চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে সব মহলে। বেআইনি আর্থিক লেনদেন রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওরার কথা চিন্তা করছে পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি।