বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের রণক্ষেত্র হয়ে উঠল জেরুজালেম! জানা গিয়েছে যে, ইজরায়েলি পুলিশ এবং প্যালেস্তিনীয়দের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র এলাকা। মূলত, শুক্রবার রাজধানীর আল-আকসা মসজিদে প্রার্থনার জন্য হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সেই সময়েই প্যালেস্তিনীয়দের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় পুলিশের। এমনকি, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর এবং বোমা ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামনে এসেছে নেটমাধ্যমে।
ইজরায়েলি পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, সেখানকার স্থানীয় সময় ভোর চারটে নাগাদ মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় প্যালেস্তানিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এবং হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর পতাকা নিয়ে মার্চ করছিলেন বেশ কয়েকজন যুবক। এদিকে, এই খবর পেয়েই সেই যুবকদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে মসজিদ এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ।
যদিও, সেই সময়ে মসজিদে প্রার্থনা চলায় প্রার্থনা শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছিল পুলিশরা। ঠিক তারপরেই মসজিদে আসা পুণ্যার্থীদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিলেন ওই প্যালেস্তিনীয় যুবকরা। অভিযোগ উঠেছে যে, পুলিশকে লক্ষ্য করে সেই যুবকেরা পাথর এবং আগুন নিয়ে হামলা চালান। স্বাভাবিকভাবেই, মসজিদের মধ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।
অবস্থা ক্রমশ এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আল-আকসা মসজিদ। এদিকে, একটা সময়ে উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জও করতে হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই হামাস আল-আকসা মসজিদে বিপুল সংখ্যক প্যালেস্তিনীয়দের জড়ো হওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় সমগ্র জেরুজালেম জুড়েই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়। যদিও, আজ সেই আশঙ্কা সত্যি করে পুলিশ এবং প্যালেস্তিনীয়দের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।
এই ঘটনায় ৫৯ জন প্যালেস্তিনীয় জখম হয়েছেন। এদিকে, ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রক এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করতে মুখোশধারী বেশ কিছু ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বোমা ছোঁড়ে। এদিকে, পুলিশ মসজিদে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। কেন না পুলিশ কোনোমতেই মসজিদের ভিতরে ঢোকেনি।