‘দিল্লি, চেন্নাইয়ের হারে DA কেন নয়?’, সুপ্রিম প্রশ্নে ‘বেকায়দায়’ রাজ্য সরকার, কী নির্দেশ দেওয়া হল?

Published on:

Published on:

dearness allowance(16)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধে ফের ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এদিন রাজ্য সরকারি কর্মীদের সওয়ালের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “ঠিক সময়ে ডিএ দেওয়া হয়নি কেন?” একই সঙ্গে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চের প্রশ্ন, “পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের দিল্লি, চেন্নাইয়ে কী হারে ডিএ দেওয়া হয়?”

ডিএ মামলায় রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন আদালতের | Dearness Allowance

ডিএ কোনও অনুগ্রহ নয়, এটা সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার, এমন মন্তব্যও শোনা গেল। এদিন মামলাকারী কর্মীদের আইনজীবী গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ডিএ কোনও দয়া নয়, এটি বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অন্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এটিকে ইচ্ছাধীন বলে দেখা চলে না।”

আইনজীবী জানান, “২০০৯ সালের রিভাইজড পে অ্যান্ড অ্যালোয়েন্স রুলস হিসেবে ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ প্রযোজ্য হওয়ার কথা। এদিকে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ের বকেয়াই দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। ”

সরকারি কর্মীদের আইনজীবী বলেন, “নয়াদিল্লির বঙ্গভবন ও চেন্নাইয়ের ইউথ হোস্টেলে কর্মরতদের এআইসিপিআই সূচক অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নিয়মেই ডিএ দেওয়া হচ্ছে। অথচ, পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত সরকারি কর্মীদের তা দেওয়ার হচ্ছে না।” একই নিয়মে নিযুক্ত কর্মচারীদের একাংশকে বেশি ও অন্য অংশকে কম দেওয়ার এই বিষয়টি সমতার অধিকারে লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেন তিঁনি।

যদিও রাজ্য এদিনও নিজের অবস্থানেই অনড় থাকে। রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবীর যুক্তি, “ডিএ কোনও মৌলিক বা আইনগত অধিকার নয়।” আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্য সরকার ডিএ প্রদান করে। এই সময় বিচারপতি মিশ্রর প্রশ্ন, “ভোক্তা মূল্য সূচক মানা না হলে, ডিএ নির্ধারণের ভিত্তিই বা কী?”

dearness allowance(10)

আরও পড়ুন: ‘নমাজও পড়েনি, সে টুপি পরে শুভেন্দুবাবুর গাড়ির সামনে হামলা চালিয়েছেন..,’ বিস্ফোরণ ঘটালেন নওশাদ

এদিন মামলার শুনানিতেই শুরুতেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলায় (Dearness Allowance) প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। রীতিমতো তিরস্কার করা হয় রাজ্যকে। তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চে বলে, আগেকার দিনের মহাজনদের মতো আচরণ করছে রাজ্য সরকার। টাকা জমিয়ে রেখে অন্য জায়গায় খাটাচ্ছে।