বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবারও ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জোরালো সওয়াল করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনজীবীরা। এদিন বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চে শুনানিতে সরকারি কর্মীদের তরফে আইনজীবী করুণা নন্দী সওয়াল করেছেন যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার উপরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ সুদ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
ডিএ মামলার জট খুলল না বৃহস্পতিতেও | Dearness Allowance
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার বলেছেন, সুুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে তাঁদের আইনজীবী বলেছেন, পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় যে পরিমাণ ডিএ বকেয়া আছে, তার পুরোটা মেটাতে হবে রাজ্যকে। একই সঙ্গে ১০ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে।
এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবীর সওয়াল, সরকারি কর্মচারীদের কখন এবং কতটা ডিএ দেওয়া হবে, সেটা তাদের অনুগ্রহ। কখন এবং কতটা ডিএ দেওয়া হবে, সে বিষয়ে আদালত কোনও নির্দেশ দিতে পারে না। ডিএ হল রাজ্য সরকারের ‘অনুগ্রহ’। সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই।
এদিন পর্যবেক্ষণে বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র বলেন, ‘রাজ্যেকেই কর্মীদের আর্থিক অবস্থার কথা ভাবতে হবে৷ রাজ্য সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করে তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ বিচারপতি বলেন, এরা নিজেরাই সমস্যা তৈরি করেছে, নিজেরাই সেই সমস্যার সুবিধে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানাল, ‘নিজেদের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যকে তার নিজের তৈরি বিধি মানতে হবে।’
মামলাকারী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছিল যে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের ডিএ-র যা ফারাক তা মিটিয়ে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের হারেই ডিএ দেওয়ার যে সুপারিশ ছিল তাও গৃহীতও হয়। কিন্তু সেই নিয়ম রাজ্য কার্যকর করেনি।
আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টায় ঝেঁপে বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে! কবে কমবে দুর্যোগ? জানাল আবহাওয়া দপ্তর
সরকারি কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী করুণা নন্দী সওয়াল, কেরল সরকার এআইসিপিআই মানেনি, তা সত্ত্বেও তারা কর্মচারীদের নিয়মিত ডিএ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ইনডেক্স না মানলেও ডিএ প্রদান বাধ্যতামূলক বলে দাবি করেন আইনজীবী।