বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাত পোহালেই ভূত চতুর্দশী (Horror)। কালীপুজোর আগের দিনটিকে ঘিরে রয়েছে নানান কাহিনি। বাঙালিদের ‘হ্যালোউইন’ বলা চলে এই দিনটিকে। পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানো থেকে হাড়হিম করা ভূতের (Horror) গল্প, রোমাঞ্চে মোড়া থাকে দিনটি। আর এমন দিনে ভূতের সিনেমার থেকে ভালো আর কীই বা হতে পারে!
ভূত চতুর্দশীর জন্য রইল ভয়ের (Horror) সিনেমা
ভূতের সিনেমা বলতে অনেকেরই প্রথম পছন্দ হলিউড। বাংলা সাহিত্যে ভূতের (Horror) গল্পের কমতি না থাকলেও ভূতের সিনেমা? নৈব নৈব চ। তবে বাংলায় ভালো ভূতের সিনেমা নেই, এই আক্ষেপ বা অভিযোগ দূর করতেই রইল এই প্রতিবেদন। ষাটের দশক থেকে আধুনিক যুগ, খাঁটি বাংলায় তৈরি ৬ টি ভূতের সিনেমা রইল তালিকায়-
আরো পড়ুন : মেয়ের জন্মের পর এ কী হাল! শুভশ্রীকে দেখে চেনা দায়! চোখ কপালে নেটপাড়ার
মণিহারা– বাংলায় ভূতের (Horror) সিনেমার প্রসঙ্গ উঠলে সর্বাগ্রে আসবে এই ছবির নাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালে। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়, কনিকা মজুমদার অভিনীত ছবিটি বাংলা সিনেমা জগতে অন্যতম ভয়ের ছবি হিসেবে পরিচিত। কাহিনি অনুযায়ী, এক পরিত্যক্ত অট্টালিকায় একজন অপরিচিত লোককে খুঁজে পেয়ে সেই অট্টালিকার জমিদার ফণীভূষণ এবং তাঁর স্ত্রী মণিমালিকার গল্প শোনায় এক স্কুল মাস্টার। মণিমালিকার ছিল অত্যন্ত রত্ন, মণিমাণিক্যের নেশা। এর জেরে তাকে খুনও হতে হয়েছিল। গল্পের ক্লাইম্যাক্সে জানা যায়, যে অপরিচিত ব্যক্তিকে ওই স্কুল মাস্টার গল্প শোনাচ্ছিলেন, তিনিই আসলে মৃত ফণীভূষণ। আজো সিনেমাটি দেখলে ভয়ের ঠাণ্ডা স্রোত বেয়ে যায় শিরদাঁড়া দিয়ে।
আরো পড়ুন : শুধু অভিনেত্রী নন, সুগায়িকাও ছিলেন, কিন্তু সঙ্গীত প্রতিভা আড়ালে রাখতেন কেন সুচিত্রা?
কঙ্কাল– ১৯৫০ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। পরিচালনায় ছিলেন নরেন্দ্র মিত্র। গল্প অনুযায়ী, তরলার সঙ্গে বিয়ে হয় বড়লোক রতনের। কিন্তু তারপরেই তরলার পুরনো প্রেমিক ফিরে আসে এবং প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ধর্ষণ করতে যায় তরলাকে। মৃত্যু হয় তরলার। শেষে তাকে নদীর জলে ভাসিয়ে দেয় অভয়। কিন্তু তারপরেই ফিরে আসে তরলার প্রেত এবং ঘটতে থাকে অশরীরী কাণ্ড কারখানা। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন পরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয়া সরকার।
যেখানে ভূতের ভয়– সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ছবিটিতে ছিল চারটি গল্প। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ভূত (Horror) ভবিষ্যৎ, সত্যজিৎ রায়ের ব্রাউন সাহেবের বাড়ি, অনাথ বাবুর ভয় এবং লখনউ-এ ডুয়েল। পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের মতো তাবড় অভিনেতাদের নিয়ে ছবিটা মুক্তি পেয়েছিল ২০১২ সালে।
গল্প হলেও সত্যি– রুদ্র এবং প্রেমিকা অনুরাধার গল্প এটা। রুদ্র পিৎজা ডেলিভারি করতে গিয়ে খুঁজে পায় এক থলে হীরে। তখন অনুরাধা তাকে বুদ্ধি দেয় হীরেগুলো নিয়ে পালাতে। কিন্তু শেষমেষ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে রুদ্রর সন্দেহ হতে থাকে তার প্রেমিকা আদৌ মানুষ কিনা! ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সোহম চক্রবর্তী এবং মিমি চক্রবর্তী।
ভূতের ভবিষ্যৎ– সকলেই শুনেছেন ভূতেরা (Horror) নাকি পোড়ো বাড়িতে থাকে। এদিকে ফ্ল্যাট কালচার আর শপিং মলের ঠেলায় সব পুরনো বাড়িই তো ভেঙে পড়ছে। এমতাবস্থায় ভূতেদের ভবিষ্যৎ কী? এই ভাবনা থেকেই ২০১২ সালে অনীক দত্ত তৈরি করেন এই ছবি। একগুচ্ছ তারকা নিয়ে ছবিটি ব্যাপক হিট হয়েছিল দর্শক মহলে।
ড্রাকুলা স্যার– পরিচালনায় দেবালয় ভট্টাচার্য এবং অভিনয়ে অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং মিমি চক্রবর্তী। হলিউডে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের ছড়াছড়ি হলেও বাংলায় এই ধরণের গল্প বেশ নতুন। স্কুল শিক্ষক অনির্বাণকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বানায় তাঁর মুখের দুপাশে দুই গজ দাঁত। ক্রমাগত টিটকিরির শিকার হতে হতে মানসিক রোগী হয়ে ওঠেন তিনি। ২০২০ তে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি।