বাংলা হান্ট ডেস্ক : হিন্দু সাধু বেশে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে অর্থ সংগ্রহ করছিল একদল যুবক। তাদের কথা বার্তায় সন্দেহ হয় স্থানীয় মানুষদের। পাকড়াও করে চেপে ধরতেই সামনে এলো আসল সত্য। জানা গেল যে ঐ যুবকরা হিন্দুই নন। অর্থ রোজগারের উদ্দেশ্যে সাধু সেজে বোকা বানাচ্ছিলেন সাধারণ হিন্দুদের (Hindu)। এটা জানার পরই তাদের বেধড়ক পিটিয়ে পুলিসেরর হাতে তুলে দিলেন স্থানীয়রাই। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) নওয়াদা জেলার আকবরপুর থানা এলাকার চাতর গ্রামে।
পুলিস জানিয়েছে, ওই ৬ মুসলিম যুবক সাধুর বেশ নিয়ে ঘুরত বিভিন্ন এলাকায়। তাঁরা সাধারণ হিন্দুদের বলতেন, ‘কিছু পয়সা দান করুন, তাহলেই ভগবানের আশীর্বাদ লাভ হবে।’ সারাদিন এভাবেই বিভিন্ন হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় অর্থ সংগ্রহ করে বেড়ানোটাই তাদের পেশা। পরে সন্ধ্যা নামলে ভিড় জমাতো কোনও একটি মন্দিরে। সেখান মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের থেকেও অর্থ ভিক্ষা করত। সেখানেই প্রসাদ খেয়ে রাত কাটাতো তারা। এভাবেই চলছিল বেশ কিছু দিন।
#बिहार के#नवादा में पकड़े गए यूपी के 7 मुस्लिम युवक ,साधु के वेश में मांग रहे थे भीख, लोगों ने पकड़ कर की जमकर धुनाई , पुलिस को बुला किया हवाले ।@AniBihar @ANI@KreatelyMedia@OpIndia_com#Bihar #nawada #nawadanewsabtak pic.twitter.com/mq131WSWqT
— Nawada News Ab Tak (@nawadanewsabtk) January 30, 2023
ধৃতরা হল কলীম আহমেদ(৩৮), রশিদ (৪০), হাসান(৩০), নবাব আলি(৩২), আমজাদ খান (৩৫) এবং সুবান আলি(৩০)। জেরায় তারা জানায় তারা সকলেই উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। অর্থ সংগ্রহ করার সময় এক ব্যক্তির সন্দেহ হয়। তিনি হিন্দু ধর্ম ও শাস্ত্র বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন। কিন্তু সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ৬ সাধুর মধ্যে কেউই। তারপরই ওই সাধুদের চেপে ধরেন স্থানীয়রা। জেরাশ জানা যায়, তারা শুধু, ভিক্ষা নয়, সুযোগ বুঝে চুরি, এমনকি শিশু পাচারও করত।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি হিন্দু সংগঠনের সদস্যদের খবর দিয়ে দেন। তাঁরা এসে ওই সাধু সেজে থাকা লোকদের মারধর করতে থাকেন। মারধরের চাপে তারা স্বীকার করে যে তারা আদতে হিন্দু নয়। শুধুমাত্র টাকা রোজগারের জন্যই তারা এমন রূপ ধরে ঘুরছিল। পরে তাদেরকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিস এসে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে জেরায় তারা জানায় যে ধর্মের নাম করে হিন্দুরা খুব দান করে। তাই এই বেশটাকেই টার্গেট করে তারা। এদিকে এমন ঘটনায় চিন্তিত পুলিসও। যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য নজরদারি আরও বাড়ান হবে বলে জানানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে।