ইমেলে ৬০০ বার, ফোনে ৮০ বার রিজেক্ট! হাল না ছেড়ে দেওয়ার জেরে বিশ্বব্যাঙ্কে চাকরি পেলেন সেই যুবক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ব্যর্থতার মানে এই নয় যে আপনি হেরে গেছেন, এর মানে হল আপনি এখনও সফল হননি। এই সত্যটি প্রমাণিত করে ছেড়েছেন বৎসল নাহাতা। যিনি শতবার প্রত্যাখ্যাত হলেও হাল ছাড়েননি। কঠোর পরিশ্রম আর আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে পা রেখেছেন বিশ্বব্যাংকে।

নাহাতার সাফল্যের যাত্রা শুরু হয়েছিল করোনা মহামারীর সময়। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকে অধ্যয়নরত ছিলেন। তার ফাইনাল ইয়ার চলছিল। কোভিডের কারণে অনেক কোম্পানি সেই সময় খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্দার দরুন কোম্পানিগুলো অনেক কর্মী ছাঁটাই করেতে শুরু করে।

সেই সময়,মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোম্পানিগুলিকে শুধুমাত্র আমেরিকান নাগরিকদের নিয়োগের জন্য চাপ দেন। নাহাতা বলেছেন যে তিনি 2 মাসের মধ্যে স্নাতক হতে চলেছিলেন কিন্তু করোনার জন্য আর তার চাকরি জুটছিল না। তিনি নিজেকে শক্ত করে লক্ষ্য অর্জন করার জন্য চেষ্টা চালাতে থাকেন। নাহাটা জানিয়েছেন, “আমি ভারতে ফেরার কথা ভাবিনি, আমি আমার প্রথম বেতন শুধু ডলারে নিয়ে চেয়েছি।”

নাহাতা এই দুই মাসে 1500 টিরও বেশি চাকরির অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন। 600টি ইমেল লিখেছিলেন, প্রায় 80 জনকে কল করেছিলেন। কিন্তু সর্বত্রই কেবল প্রত্যাখাত হয়েছেন। নাহাতা বলেন, “সেই কঠিন সময়ে, আমি ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি দ্য জেন্টল হাম অফ অ্যাংজাইটি গানটি শুনতাম।” অবশেষে তিনি কঠোর পরিশ্রম ও মনোবলের জোরে মে মাসে পান চার চারটি কাজের অফার। সেই চারটির থেকে তিনি নিজের অফিস হিসেবে বেছে নেন বিশ্বব্যাংককে। নাহাতা এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) কাজ করছেন। তিনি জানান, শুরুর 2 মাসের যাত্রাপথ জীবন সম্পর্কে কিছু সোনালী পাঠ শিখিয়েছে।

World Bank,Landed a job,Many rejections,Success story,Vatsal Nahata,Employment,Job

এখন নাহাতা তার অভিজ্ঞতা মানুষের সাথে শেয়ার করেন। তিনি তাদের কখনও হাল ছেড়ে না দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আপনিও যদি আমার মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে মনে হচ্ছে পৃথিবী শেষ যাচ্ছে, তবে নিজেকে শক্ত রাখুন। আপনি যদি আপনার ভুল থেকে শিক্ষা নেন এবং আপনি সঠিক দরজায় কড়া নাড়েন, তাহলে অবশ্যই ভালো দিন আসবে।