বাংলাহান্ট ডেস্ক: কথায় আছে, ভালবাসা বয়স মানে না। তেমনই একটি অসমবয়সি ভালবাসার পরিণতি পাওয়ার দৃশ্য দেখা গেল সম্প্রতি। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাবাঙ্কি জেলায় আর পাঁচটা সাধারণ বিয়ের মতো করেই হচ্ছিল একটি বিয়ে। তবে সেখানে পাত্র ও পাত্রীর বয়স দেখে আড় চোখে তাঁকিয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু তাতে একটুও বিচলিত হননি ৬৫ বছরের নাক্ষেদ ও ২৩ বছরের নন্দিনী যাদব। কারণ তাঁরা একে অপরকে ভালবেসেই বিয়ে করেছেন।
সুবেহা থানা এলাকার হুসেনাবাদের বাসিন্দা নাক্ষেদ যাদবের ৬ কন্যা সন্তান রয়েছে। তাঁর সন্তানদেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই একাকী জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। এ নিয়ে বেশ কুন্ঠিতও বোধ করছিলেন। একাকী জীবনে একজন সঙ্গীর প্রবেশের জন্যই ফের একবার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন নাক্ষেদ যাদব। পাত্রী ২৩ বছরের নন্দিনী হলেন ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) বাসিন্দা।
রবিবার সকালে দু’জনেই অযোধ্যার মা কামাখ্যা মন্দিরে চলে যান। সেখানে তাঁদের বিয়ে দেখতে হাজির হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। অগ্নি ও বাকি সবাইকে সাক্ষী রেখে সাত পাকে বাঁধা পড়েন নাক্ষেদ ও নন্দিনী। সমস্ত হিন্দু রীতি মেনে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এমন অসমবয়সি প্রেমের পরিণতি প্রত্যক্ষ করতে মন্দিরে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ।
তবে এমন বিয়ে দেখে কেউ কটূ কথা বলেননি। প্রত্যেকেই এই প্রেমের পরিণতি দেখে খুশি হয়েছেন। বিয়েতে বর-কনের মাথায় পুষ্পবৃষ্টি করেছেন অতিথিরা। নাক্ষেদের বোনরা সমস্ত রীতি পালন করেছিলেন। নাক্ষেদের সর্বজ্যেষ্ঠ মেয়েও তাঁর বাবার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নাক্ষেদের ছোট ভাই শান্ত প্রসাদ যাদব। নববিবাহিত দম্পতিকে সকলে আশীর্বাদ করেন।
বিয়ে শেষে নাক্ষেদ জানান, একাকীত্ব কাটাতেই নন্দিনীকে বিয়ে করেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি কাজে তিনি রাঁচি (Ranchi) গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর দেখা হয় নন্দিনীর সঙ্গে। এরপর সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। এরপর নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে চেয়েছিলেন দু’জনে। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। রবিবার মায়ের মন্দিরে তাই সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা।