উত্তরাখণ্ডে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, গভীর খাদে যাত্রীবাহী বাস পড়ে মৃত ৭

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ফের এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল একাধিক মানুষের। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন যাত্রী। মঙ্গলবার সকালে নৈনিতাল জেলার ভিকিয়াসৈন এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।

উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত ৭

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বাসটি নৈনিতালের রামনগর থেকে আলমোরার দ্বারহাটার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বাসে মোট ১৮ থেকে ১৯ জন যাত্রী ছিলেন। পাহাড়ি রাস্তা ধরে চলার সময় ভিকিয়াসৈন এলাকার কাছে হঠাৎই বাসটি চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং রাস্তার পাশের গভীর খাদে আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার তীব্রতায় বাসটি একাধিকবার উল্টে যায় বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন:অপারেশন সিঁদুরের রেশ কাটেনি, ২০২৬-এ ফের ভারত-পাক সংঘর্ষের আশঙ্কা, সতর্ক করলেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা

দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারাই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। আহতদের খাদ থেকে উদ্ধার করে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলেই ছ’জনের মৃত্যু হয়, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ি পথে তীব্র বাঁক অথবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। তবে চালকের কোনও ভুল ছিল কি না, কিংবা রাস্তার অবস্থা দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং বাসটির প্রযুক্তিগত দিকও পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

7 people have died in a horrific bus accident in Uttarakhand.

আরও পড়ুন: ‘১৯৭১ ভুলে গেলে চলবে না’—উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে বাংলাদেশকে তীব্র বার্তা তেমজেন ইমনা আলংয়ের

এই দুর্ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনকে আহতদের চিকিৎসায় সব রকম সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যাত্রীবাহী যান চলাচলে আরও কড়া নজরদারি করা হবে।