বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা দিন দিন বেড়ে চলেছে, অথচ বরাদ্দ টাকা প্রদান থেকে বঞ্চিত করা হয়ে চলেছে বাংলাকে! সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিকবার এহেন অভিযোগ এনেছে তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকার আর এবার হিসেব কষে কেন্দ্রকে সম্পূর্ণ তথ্য পাঠালো বাংলার অর্থ দপ্তর।
অতীতে একাধিক সময় রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই বাংলাকে বঞ্চনা করে চলেছে বিজেপি, এহেন অভিযোগই সামনে উঠে আসে। সম্প্রতি দিল্লিতে রওনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সকল বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করেন বলেই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এরপরেও সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান হয়নি বলেই জানায় রাজ্য। বর্তমানে অবশেষে হিসেব সংক্রান্ত সকল তথ্য কেন্দ্রকে পাঠিয়ে দিল অর্থ দপ্তর।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজস্ব ঘাটতি তহবিলে বর্তমানে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা পাবে রাজ্য। অথচ সেই টাকা এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলেই দাবি নবান্নর। উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনা সহ অন্যান্য একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার অপরদিকে, কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, একাধিক প্রকল্পে বাংলার পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে সঠিক পরিসংখ্যান না দেওয়ার জন্যই তারা বরাদ্দ টাকা মেটায়নি। আবার রাজ্য বিজেপির অভিযোগ, যেভাবে কেন্দ্রের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা, তার তদন্ত হওয়া উচিত।
তবে এর মাঝেই এদিন ৭ হাজার কোটি টাকার হিসাব কেন্দ্রকে পাঠালো নবান্ন। অর্থ দপ্তর জানিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মতে রাজ্যকে টাকা দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এক্ষেত্রে করোনা পরবর্তী সময় বিপুল আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রতিটি রাজ্যকে টাকা দেওয়া হয়ে চলেছে। সেই খাতেই এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রককে হিসেব পাঠালো রাজ্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, রাজস্ব ঘাটতি তহবিলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকার কোনরকম সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে করোনা পরবর্তী সময়ে প্রতিটি রাজ্যকে বেশ কয়েকটি ধাপে টাকা প্রদান করে কেন্দ্র আর সেই খাতেই কেন্দ্রের কাছে এবার ৭০০০ কোটি টাকার পাওনা দাবি করে বসলো রাজ্য।
‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যের পর তীব্র কটাক্ষ! এবার মমতার সন্দেহ ‘১৪৪ বছর’ পর মহাকুম্ভ নিয়ে