বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে এবার বড় খবর রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রেও। বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই অর্থাৎ বুধবারেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ সাক্ষর করল রাজ্যের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিষয়টিকে স্বভাবতই বড় হিসেবেই দেখছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট মহল।
বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের আরও ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় গাঁটছড়া বাঁধে দেশ বিদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী, ইংল্যান্ডের ইউসিএল, লিডস বিশ্ববিদ্যালয় ও পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মউ সাক্ষর করেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সাক্ষর করেছে ৫টি মউ,যেখানে আন্তজার্তিক সংস্থার পাশাপাশি দেশীয় সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও ছাত্র বিনিময়ের ব্যাপারে চুক্তি সাক্ষর করে তারা।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় গাঁটছড়া বেঁধেছে ‘অ্যাটমিক মিনারেলস ডাইরক্টরেট ফর এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড রিসার্চ’য়ের সঙ্গে। দেশ বিদেশের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মউ চুক্তি সাক্ষর করেছে সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ও। অদূর ভবিষ্যতেই নেতাজি সুভাষের নামে ক্রিড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করবে বলে ঘোষণা করেছেন সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিং এ একটি স্কিল বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির তৈরির কথাও ঘোষণা করা হয় এদিন।
এই প্রসঙ্গে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু বলেন, ‘কোভিড মহামারীতে বিশ্বের মতো রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাও কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। তবে দ্রুত উৎকর্ষের দিকে এগোচ্ছি। মাঝে একটা সময় বাংলার গৌরব স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। সেই গৌরব আবার মধ্যাহ্নের দীপ্তি ছড়াচ্ছে।’ একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয় বারের জন্য গদিতে বসে রাজ্যে শিল্প এবং কর্মসংস্থান আনাকেই লক্ষ্য বানিয়েছেন মমতা। সেই মতই রাজ্যে আয়োজন করা হয়েছিও বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের।