১২ জঙ্গি নিকেশ কাশ্মীরে! একটি জঙ্গি সংগঠনকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করল সেনা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৭২ ঘণ্টায় চারটি আলাদা আলাদা জায়গায় ১২ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা। মৃত জঙ্গিরা আনসার গাজওয়া-তুল-হিন্দ, আল-বদর আর লস্কর-এ-তইবা সংগঠনের বলে জানা গিয়েছে। লস্কর আর TRF এর জঙ্গিরা স্থানিয় ছিল। তাঁরা ৯ এপ্রিল অনন্তনাগের বিজবিহাড়ায় টেরোটরিয়াল আর্মির হত্যায় জড়িত ছিল। এরা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল। আরেকদিকে ত্রাল এবং শোপিয়ানে সাত জঙ্গিকে নিকেশ করার সাথে সাথে আনসার গাজওয়া-তুল-হিন্দ-এর কাশ্মীর থেকে নিশ্চিহ্ন করল ভারতীয় সেনা। শোপিয়ানের হাটিপোরায় আল বদরের তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।

Indian Army encountered 5 terrorist in Jammu and Kashmir

ডিজিপি দিলবাগ সিংহ বলেন, বিজবিহাড়ায় নিকেশ জঙ্গিরা টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ানের হত্যার দোষী ছিল। দিলবাগ সিংহ বলেন, বিগত ৭২ ঘণ্টায় আলাদা আলাদা জায়গায় চালানো অভিযানে ১২ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। ত্রাল আর শোপিয়ানে সাতজন জঙ্গি, হাটিপোরায় তিনজন জঙ্গি আর বিজবিহাড়ায় দুইজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।

এর আগে ত্রালে আনসার গাজওয়া-তুল-হিন্দ এর প্রধান ইমতিয়াজ শাহকে নিকেশ করা হয়েছিল। বুরহান কোকার মৃত্যুর পর ইমতিয়াজই আনসার গাজওয়া-তুল-হিন্দ এর দায়িত্ব সামলাচ্ছিল। তাঁর কাঁধে অমরনাথ যাত্রীদের নিশানা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ইমতিয়াজ ২০১৯ এর জুলাই মাস থেকে সক্রিয় হয়েছিল আর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অনেক কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার শোপিয়ান এবং ত্রালে অপারেশনের দায়িত্ব সামলানো ভিক্টর ফোর্সের জিসিও মেজর জেনারেল রশিল বালী বলেন, শোপিয়ান এনকাউন্টারে মজসিদে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের বহুবার আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয়েছিল। সেনা সংযম দেখাতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখিন হয়। সেনার এক আধিকারিক সমেত চার জওয়ান আহত হন। আপাতত তাঁরা সবাই বিপদ সীমার বাইরে।

রশিম বালী বলেন, মসজিদ একটি পবিত্র যায়গা আর আমরা সেতিকে পবিত্র রাখার সম্পূর্ণ প্রয়াস করেছি। সেনার ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস আর শোপিয়ান পুলিশ মসজিদের পবিত্রতা বজায় রাখে। অপারেশন শেষ হওয়ার পর জওয়ানরা মসজিদেই ছিল। মসজিদ সম্পূর্ণ ভাবে পরিস্কার করার পর সেটি মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত খবর

X