বাংলাহান্ট ডেস্ক :বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার।পরিষেবা স্বাভাবিক আর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের ১৭ই মার্চ পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় ৩৩ দিন। কিন্তু তাও লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।কিন্তু এর মধ্যেও অনেক লক ডাউন অমান্য করে বেরিয়েছেন। আর তার মধ্যেই একটা ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে বিলার বারে। পঁচাত্তর বছরে বয়স্ক ঘিসি দেবী তিনি এই অবস্থায় ঘরে যা ছিলো সেই খেয়ে কাটিয়েছেন।
তার ছেলেও অসুস্থ থাকার কারণে কেউই তারা ঘরে থেকে বেরোতেই পারেন নি। এমনিতেই তিনি ঘরে সব সময় পিটা রাখতেন। কিন্তু লক ডাউনের কারণে তিনি বাজার যেতে পারেন নি। এর মধ্যেই তিনি তার ছেলে অনেক কষ্ট করে ঘরে বসে রান্নার করছেন। ছেলে অসুস্থ থাকার কারণে তেমন করে দোকানে বাজার যেতে পারেন নি। তিনি বলেন ঘরে থাকা মশলা আর আটা পিষে যা পাওয়া যাচ্ছে দুবেলা এখন তাই দিয়েই রান্না করা হচ্ছে। আর এভাবেই বৃদ্ধ বয়েসে তাকে মশলা পিষতে হচ্ছে অনেক অসুবিধা হলেও তাই করতে হচ্ছে।
মাত্র পনেরো বছরে বয়েস থেকে চাকিতে আটা পেশাই করতে শুরু করেন। এরপরে তিনি এতো বছরে অনেক আটা পিষে বার করেছেন। লক ডাউনে বাজার যাওয়া হয়নি। তার দুই মেয়ে বিবাহিত এবং শশুরবাড়ি থেকে এই লক ডাউনে তারাও আসাতে পারেন নি। তাই মা এবং ছেলে দুজন মিলে কোনো মতে দিনে গুজরান করছেন।
আর এর মধ্যেই তারা কোনো মতে খেয়ে পরে বেঁচে আছেন। ওই বৃদ্ধা জানান যে তিনি ছোটো থেকে মার সাথে এই কাজ থেকে শিখেছেন আর এই লক ডাউনে প্রায় তিরিশ কেজি গম পিষে আটা বানিয়েছেন। এক ঘন্টার মধ্যেই এক কেজির গম পিষে আটা পেয়েছেন।