বাংলাহান্ট ডেস্ক: অসমে এক মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) মাঝরাতের অন্ধকার ও কুয়াশার মধ্যে রাজধানী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রাণ গেল অন্তত আটটি হাতির। এই দুর্ঘটনায় একটি হাতির শাবক গুরুতর জখম হয়েছে। ধাক্কার তীব্রতায় ট্রেনের পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে স্বস্তির বিষয়, ট্রেনে থাকা যাত্রীদের কারও হতাহতের খবর মেলেনি। দুর্ঘটনার জেরে ওই রেলপথে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়, যার প্রভাব পড়ে অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রুটেও।
অসমে রাজধানী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা (Train Accident):
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইরং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি রাত ২:১৭ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়ে। গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে, হোজাই জেলায় ঘটনাটি ঘটে। আশ্চর্যের বিষয়, ওই এলাকা সরকারি ভাবে ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ হিসেবে চিহ্নিত নয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও রেল সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশার মধ্যে আচমকাই লাইনের উপর একটি হাতির পাল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন লোকো পাইলট।
আরও পড়ুন:অনলাইনে আরও সহজে মিলবে টিকিট, আধারযুক্ত আইআরসিটিসি অ্যাকাউন্টে সময়সীমায় পরিবর্তন ভারতীয় রেলের
বিপদ বুঝে চালক সঙ্গে সঙ্গে এমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু দ্রুতগতির ট্রেন হওয়ায় এবং দূরত্ব কম থাকায় শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা (Train Accident) এড়ানো সম্ভব হয়নি। ট্রেনের ধাক্কায় আটটি হাতি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। সংঘর্ষের তীব্রতায় ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়, যার ফলে গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজ শুরু করতে গিয়ে রেলকর্মীরাও নানা সমস্যার মুখে পড়েন।
দুর্ঘটনার (Train Accident) খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা-ত্রাণ ট্রেন পাঠায় এবং রেলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। সূত্র অনুযায়ী, লাইনের উপর বিভিন্ন জায়গায় হাতিদের দেহাংশ ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে। একসঙ্গে একাধিক কামরা লাইনচ্যুত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘক্ষণ ওই লাইনে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হয়।

আরও পড়ুন:২১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেন বাতিলের হিড়িক, কোন কোন লোকাল বন্ধ? এক নজরে দেখুন তালিকা
দুর্ঘটনার (Train Accident) পর ক্ষতিগ্রস্ত কামরাগুলির যাত্রীদের অবশিষ্ট কামরার খালি বার্থে স্থানান্তরিত করা হয়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর এতে অতিরিক্ত কামরা সংযুক্ত করা হবে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পন্ন হওয়ার পর রাজধানী এক্সপ্রেসটি পুনরায় তার গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু করবে। এই ঘটনায় আবারও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা ও রেলপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।












