বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের একবার জোর করে ধর্মান্তকরণের ঘটনা এলো প্রকাশ্যে, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে যোগী রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) মিরাটে (Meerut) করোনা মহামারীর সময়কালে গরিব বস্তিবাসীদের করুণ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তাদের ধর্মান্তকরণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় খ্রিস্টান (Christian) সম্প্রদায়ের মোট ৯ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু তাই নয়, ধর্মান্তকরণের পাশাপাশি হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি নষ্ট করা এবং মন্দিরের পরিবর্তে চার্চে যাওয়ার নির্দেশও দেয় তারা। এই বিষয়ে অভিযোগ সামনে আসতেই তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। যদিও এ ঘটনায় দোষীদের এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে খবর।
উল্লেখ্য, বিগত দুই বছর ধরে ভারতবর্ষ সহ গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর কারণে দুর্বিসহ হয়ে ওঠে মানুষের জীবন। ঘর থেকে বেরোনো মুশকিল হয়ে যায়, রোজগারে আসে বাধা। অভিযোগ, সেই সময় গরিব মানুষদের করুণ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ধর্মান্তকরণের চক্রান্ত করে নয় জন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের সাহায্য করার নাম করে ধর্ম পরিবর্তন করতে জোর দেওয়া হয়।
এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে হিন্দু দেবতাদের মূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি মন্দিরের পরিবর্তে চার্চে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় গরিব বস্তিবাসীদের। সম্প্রতি, এক বস্তিবাসী এই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে স্থানীয় বিজেপি নেতা দ্বারা বিষয়টিকে প্রশাসনের নজরে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, অভিযোগকারী ওই বস্তিবাসী বলেন, “প্রথমে আমাদের আধার কার্ডের নাম পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দিওয়ালি পালন করার সময় হিন্দু দেব-দেবীদের ছবি ছিঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি মন্দিরের পরিবর্তে চার্চে যেতে এবং প্রভু যীশুর কাছে প্রার্থনা জানাতেও জোর করে ওরা। এ বিষয়ে যারা প্রতিবাদ জানায়, তাদের কাছে দু লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। এমনকি, প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেয় অভিযুক্তরা।”
প্রসঙ্গত, অতীতেও একাধিক উত্তরপ্রদেশ থেকে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ সামনে আসে আর সেই ধারা বজায় রেখে এবার গরিব বস্তিবাসীদের জোর করে খ্রিস্টান ধর্মে অন্তর্ভুক্ত করার চক্রান্ত সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের নজরে এসেছে বিষয়টি এবং ৯ জন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তারা।