বাংলাহান্ট ডেস্ক : একদিকে তীব্র খাদ্যাভাব অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকট (Financial Crisis)। ভয়াবহ দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে পাকিস্তানবাসীর। ক্রমাগত বেড়ে চলা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অভাব আর সেই সঙ্গে পাকিস্তানি মুদ্রার তীব্র পতনের কারণেই এক্কেবারে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
ভয়াবহ এই অর্থাভাবের মধ্যে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করার জন্য শাহবাজ সরকার নিত্য নতুন পন্থা অবলম্বন করার চেষ্টা করছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণেই শাহবাজ সরকারের তরফ থেকে বিদেশে বসবাসরত পাকিস্তানিদের প্রায় ৯০,০০০ পাকিস্তানি নাগরিকের হজ কোটা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে প্রায় ৯০,০০০ পাকিস্তানি এ বছর হজ করতে পারবেন না। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ করাই হল এমন সিদ্ধান্তের পিছনে আসল কারণ।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তানিদের জন্য হজ কোটা কমাতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, প্রবাসী পাকিস্তানিরা এই নয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেরাই হজ করতে পারবেন বা পাকিস্তানে বসবাসকারী কোনও ব্যক্তির খরচ বহন করতে পারেন। ইতিমধ্যেই, অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মুফতি আবদুল শাকুরের মধ্যে বৈঠকে এই কথায় জানিয়েছেন।
বৈঠকের পর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী মিডিয়া ডিরেক্টর উমর বাট বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে পাকিস্তানের হজ কোটার অর্ধেক প্রবাসী পাকিস্তানিদের জন্য বরাদ্দ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।” অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার মতে, এ বছর সৌদি আরব পাকিস্তানকে ১,৭৯,২১০ হজ কোটা দিলেও তীব্র অর্থাভাবের কারণে এত বড় পরিসরে হজের অনুমতি দিতে ব্যর্থ শাহবাজ সরকার।