আংশিক আইসিসিইউতে দেওয়ার পর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল৷ যদিও শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে কিন্তু তার পরেও আরও এক ইউনিট রক্ত দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল তরফ থেকে৷ তবে সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত নন তিনি৷ ফুসফুসের সংক্রমণ এখনও রয়েছে তাই বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে৷ তাই আপাতত কয়েকদিন চিকিত্সকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন বুদ্ধদেববাবু৷ কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে থাকায় ক্রমশই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে৷ বার বার সংজ্ঞাহীনও হয়ে পড়েছিলেন তিনি, অবশেষে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাময়িক আলচনার পর বুদ্ধবাবুকে আইসিসিইউ র বেডে রেখে বাই অ্যাপ ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে চিকিত্সা শুরু করেন চিকিত্সকরা৷
তবে জানা গিয়েছে চিকিত্সকদের চিকিত্সায় আপাতত সাড়া দিচ্ছেন তিনি, এখন আস্তে আস্তে কথা বলতে পারছেন৷ অন্য দিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হালিম, সিপিএমের হেভিওয়েট রবীন দেব সূর্যকান্ত মিশ্র মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা৷ এর পর হাসপাতালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন দলমত নির্বিশেষে সমস্ত নেতারাই৷
উল্লেখ্য, টানা পঁয়ত্রিশ বছর রাজ্যে বাম রাজত্বকালে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যানমুখী কাজ পরিচালনা করেছিলেন, তাঁর আমলেই রাজ্যে সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য তৈরি হয়েছিল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, এছাড়া রাজ্যের উন্নয়নে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন বিভিন্ন সময়