“কাশ্মীর পৌঁছতে পারেনা; আবার চাঁদ! ” ভারতকে বিদ্রূপ পাকিস্তানের

 

অমিত সরকার

চাঁদের পিঠে পা রাখার আগে ২.১ কিলোমিটার দূরত্বেই ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। চাঁদের অন্ধকার দিকের রহস্য উন্মোচনে বেরিয়ে নিজের অন্ধকারে হারিয়ে যায় বিক্রম।

দীর্ঘায়িত হয় উদ্বেগের সেই ১৫ মিনিট। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া মেলেনি আর। ভোরের দিকে একপ্রকার নিশ্চিত হওয়া যায়, এবারের মতো সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছনো হল না ইসরোর। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই পরিশ্রম আর সাহসকে যখন কুর্নিশ জানাচ্ছে দেশবাসী, ঠিক তখনই কটাক্ষ উড়ে এল পড়শি দেশ থেকে।

মিশন চন্দ্রযান ২ নিয়ে একের পর এক টুইট করে ভারতকে রীতিমতো অপমান করতে থাকেন ফাওয়াদ খান। তিনি লেখেন, “অঅঅ… যে কাজটা পারো না, সেটা করারই দরকার নেই। প্রিয় ‘এন্ডিয়া’।” ইন্ডিয়ার বানান বদলে ‘এন্ডিয়া’ লিখে মন্ত্রী বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, ভারতের মিশন শেষ হয়ে গিয়েছে।

IMG 20190907 140633

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুক্রবার গভীর রাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের কথা চন্দ্রযান-২ এর। ২২ জুলাই সূচনা হয় এই কর্মসূচি। এটি থ্রি-মডিউলের মহাকাশযান যাতে রয়েছে একটি অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে ইসরোর কর্মসূচি পুরোপুরি সফল হবে। সেই আশাতেই গভীর উতকন্ঠা, কৌতূহল নিয়ে সাগ্ররে প্রহর গুনছে ভারতবাসী, দেশের বিজ্ঞানী মহল। চাঁদের কক্ষে পৌঁছে গোটা অভিযানের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণ করে ফেলেছে চন্দ্রাভিযানে যাওয়া দুটি রোবট বিক্রম (ল্যান্ডার) ও প্রজ্ঞান (রোভার)। অরবিটার থেকে আলাদা হওয়ার পর তারা চাঁদে সফট-ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করবে।

২২ জুলাই থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অরবিটারের সঙ্গে যু্ক্ত ছিল তারা। গোটা অভিযানের খরচ প্রায় ৯৭৮ কোটি টাকা। ইসরোর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯-এ ভারতীয় সময় রাত ১টা থেকে ২টোর মধ্যে ল্যান্ডারকে নামানোর কথা। বিক্রমের ল্যান্ডার থেকে বেরিয়ে  প্রজ্ঞান চাঁদের বুকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে, বিশেষত সেখানে জল ও অন্যান্য খনিজ পদার্থের অস্তিত্বের ব্যাপারে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ চালাবে।

সম্পর্কিত খবর