বাংলা হান্ট ডেস্ক: চারিদিক সেজে উঠছে আলোর রোশনাই তে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। আর মাত্র কিছুদিন। উমা ফিরবে ঘরে। মায়ের আসার বেশ কিছু মাস আগে থেকেই মৃৎ শিল্পীদের ঘরে শুরু হয় মূর্তি তৈরির তুমুল ব্যস্ততা। আসলে, আমাদের বাঙালিদের কাছে উমা শুধুই মূর্তি পুজো নয়। এ এক এমন আবেগ যা বোঝানো যায়না। শিল্পীরা যখন গড়ে তোলে মায়ের রূপ, তখন সেই মা ই আর মা থাকেনা। হয় ওঠে বাড়ির মেয়ে, কন্যা। সন্তান স্নেহে শিল্পী সাজিয়ে তোলে তাকে। ছাঁচ তৈরি করা, মাটির প্রলেপ দাওয়া, চোখ ঠোট আকা, শাড়ি পড়ানো থেকে মায়ের ঘন কালো চুল। যেন নিজের সন্তানকে তৈরি করছে পিতা। এই মূর্তি তৈরির টান জন্ম দিল জ্যোতির্ময় দাস কে।
প্রথম স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্গা প্রতিমা বানাতে দেখে সে। তারপর থেকেই মূর্তি বানানোর ইচ্ছেটা মাথায় চাপে। ইচ্ছে থাকলেই যে উপায় হয় তা আবারও প্রমাণ করে দিল এই খুদে। টিফিনের পয়সা জমিয়েই দুর্গা ঠাকুর বানাতে শুরু করে জলপাইগুড়ির দেশবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র জ্যোতির্ময় দাস।গত বছর প্রথম দুর্গা মূর্তি তৈরি করে জ্যোতির্ময় যা স্থান পায় ময়নাগুড়ির একটি মণ্ডপে।এবছর দেড় ফুট উচ্চতার দু’টি প্রতিমা তৈরি করছে জ্যোতির্ময়।তার হাতের কাজ, তুলির টান এত অসাধারন যে তার কাজ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন পানপাড়ার বাসিন্দারা।এবছর প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ কিন্তু এখনও বায়না পায়নি জ্যোতির্ময়। তবে হাল ছাড়েনি সে। তার তৈরি মাতৃরূপ কোনো না কোনো মণ্ডপে ঠিক স্থান পাবে, এই আশাতেই মূর্তি গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জ্যোতির্ময় ।