টিনেজার বয়সে ডেটিং? বাবা-মা জানেন?

বাংলাহান্ট– অন্বেষা ,অঙ্কনা ও সুমনা পরস্পরের খুব ভালো বন্ধু। তারা এখন ক্লাস এইটে পড়ছে। সামনে ফাইনাল ইয়ারে পরীক্ষা। এরপর তারা উঠবে ক্লাস নাইনে। তারাএকসঙ্গে টিউশনে পড়ে ।কিন্তু টিউশনি শেষ হওয়ার পরপরই অন্বেষা ও সুমনা প্রত্যেকদিন তাদের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে যায়।

মন খারাপ হয়ে থাকে অঙ্কনার। যেহুতু তার কোন ছেলে সঙ্গী বা ছেলে সঙ্গী বা বয়ফ্রেন্ড নেই তাই সে চুপচাপ নিজের বাড়ি চলে আসে। একদিন সে তার নিজের মাকে তার দুই বন্ধুর এই ডেটিংয়ের কথা বলে। চিন্তায় পড়ে যান তার মা। তাদের ভাবেন এই বয়সে এই ধরনের কাজকর্ম করা মানে নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া, আর তার পাশাপাশি এই ধরনের ছেলেগুলির হাতে পড়ে নিজেদের জীবনকে নষ্ট করা। তার মায়ের অঙ্কনার বন্ধুদেরও জন্য চিন্তা হয় এবং তিনি বড় দুর্ঘটনার কথা ভেবে আরো চিন্তান্বিত হয়ে পড়েন।

মেয়ের কথা শোনার পর থেকে মায়ের চিন্তার শেষ নেই, তিনি ভাবছেন, তার মেয়েটিও এমন করতে পারে। এই বয়সের ছেলে-মেয়েরা না বুঝে বা শখ করে অনেক ধরনের ভুল করে, যার পরিণতি অনেক সময়ই খারাপ হয়।

এই ধরনের স্কুলে পড়া টিনেজার বয়সের ছেলেমেয়েদের ডেটিং বড়ই ভয়াবহ। এই সময় তাদের বিশেষ কিছু পরিণত বুদ্ধি থাকে, না তারা প্রেমকেই সবকিছু বলে মনে করে এবং যার পরিণতি পরবর্তী দিকে হয়ে থাকে আরও অনেক ভয়ংকর। এইসব রিলেশনের কথা তাদের বাড়িতে কখনোই জানেনা এবং তার ফলে বিষয়টি অন্যদিকে মোড় নেয়।

টিনএজারদের শারীরিক, মানসিক ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ পুরোপুরি হয়ে ওঠে না, ফলে সম্পর্কের সম্মান দেওয়া বা এই সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে সঙ্গে নিজের পড়াশোনা ঠিকভাবে করে যাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।

তাই পরিবারের বাবা মা এর উচিত এই সময় সন্তানের সাথে থাকা। যখন সন্তানের এমন সম্পর্কের বিষয়ে তারা জানবেন, তাকে মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন না করে তার সাথ দেওয়া। যাতে সে পরবর্তী কালে বড় কোনো বিপদে না পড়ে।তার পাশে থাকা, প্রয়োজনে কোনো কাউন্সিলরের পরামর্শও নিতে হতে পারে।

IMG 20190921 WA0130

বারবার মনে রাখতে হবে বয়সন্ধিকালে টিনএজারদের এমন একটা সময় চলে যখন তাদের বুদ্ধির পুরোপুরি বিকাশ হয় না এবং তারা কোনটা ঠিক কোনটা ভুল তা বিচার করতে পারে না। সুতরাং তারা অনেক ভুল করে বসে। এই সময় যদি তাদের সঙ্গে না থেকে তাদের ওপর শারীরিক-মানসিকভাবে বাবা-মা নির্যাতন করেন তাহলে তা কোনোভাবেই ভালো দিকে মোড় নেয় না। বরং তারা এইসব কারণ এর ফলে আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে ওঠে।


Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর