বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেবাঞ্জন বল্লভ, বাড়ি বর্ধমান। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) যাদবপুরে তার অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন। তার অন্যতম মূল কাণ্ডারি ছিলেন এই ছাত্র। বারংবার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রিন্ট মিডিয়া সমস্ত জায়গায় যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল তার অন্যতম দেবাঞ্জন। তার কীর্তিতে তার মা মোটেও গর্বিত নন। তিনি আশঙ্কিত তিনি ছেলের অপত্যস্নেহে আবদ্ধ তিনি কোন রাজনৈতিক দলের মধ্যে না ঢুকে সোজা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কাছে আবদার জানান।
তিনি শারীরিকভাবে ক্যান্সারাক্রান্ত। তার আর্তনাদ গিয়ে পৌঁছায় বাবুলের কাছে। বাবুল মহানুভবতার সাথে সেই মায়ের ব্যাকুলতা কে স্থান দিয়েছেন সবার আগে রাজনীতিকে রেখেছেন নিম্নে বাবুল লেখেন, “চিন্তা করবেন না মাসিমা – আমি কোনও ক্ষতি করব না আপনার ছেলের !! ওর ভুল থেকে ও শিক্ষা নিক এটাই চাই ! আমি নিজে কারোর বিরুদ্ধে কোনও (FIR) তো করিইনি – কারোকে করতেও দিইনি ৷ আপনি দুশ্চিন্তা করবেন না। তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন মাসিমা ! আমার প্রণাম নেবেন। আর্তি একটাই, “ছেলে দেবাঞ্জন বল্লভকে যেন ক্ষমা করেন বাবুল ৷”
দেবাঞ্জনের বাবা চন্দন বল্লভ বর্ধমান টাউন স্কুলের কমার্সের শিক্ষক ৷ তিনিও ছেলেকে নিয়ে শঙ্কিত ৷
সময়টা ছিল 2012, তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থানের সেই মহাযজ্ঞের সময়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।2012 সালের 8 ই আগস্ট বেলপাহাড়ি তে এক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী হঠাত চিৎকার করে জানিয়ে দেন তিনি মাওবাদী। তিনি আর কেউ নন, তিনি ছিলেন একজন গ্রামের প্রান্তিক কৃষক শিলাদিত্য।থমকে উঠে জনমানুষ কলরব ওঠে পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের মুখে। তিনি সামান্য সারের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করায় তাকে মাওবাদী তকমা দিয়েছিলেন। তার ভবিষ্যতের জীবনে দিয়ে দিয়েছিলেন একটি কালো দাগ। আইনের প্রলেপ মেখে দিয়েছিলেন তার জীবনে।
অন্যদিকে 2013 সালের অপর একজনকে মাওবাদী তকমা দিয়েছিলেন কামদুনি কাণ্ডে সেই মুখ্যমন্ত্রী টুম্পা কয়াল কে।নামটি শুনলে আজও মনে পড়ে যায় সেই কামদুনি কাণ্ডের হুমকি থেকে আরম্ভ করে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া থেকে আরম্ভ করে মাওবাদী তকমা দেওয়ার সেই অধ্যায়গুলি। তিনি ভেবে দেখেননি তার জীবনটা নষ্ট করে দিতে পারে সে আইনে কার্যকলাপের কালোদাগ একটি মহিলাকে তিনি দিয়েছিলেন সেই না জানা অপবাদ।