বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ বার রাজ্যপাল ও উপাচার্য সম্পর্কের টানাপড়েন প্রকাশ্যে এল৷ শনিবার অসুস্থ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে দেখতে ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধন কর৷ একই দিনে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু একই দিনে দুটো বিপরীত ছবি প্রকাশ্যে আসায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় উঠেছে গোটা রাজ্যে৷ রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীপ ধন কর উপাচার্যকে দেখতে গেলেই তিনি বিছানায় শুয়ে শুয়েই রাজ্যপালের শুভেচ্ছা নেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলেন৷ কিন্তু রাজ্যপাল হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কনভয় নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ অথচ শিক্ষামন্ত্রীকে দেখেই উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর থেকে শুভেচ্ছাবার্তা গ্রহণ করেন উপাচার্য৷ আর এই ছবি সংবাদমাধ্যমের প্রকাশ্যে আসায় রাজ্যপালের প্রতি উপাচার্যের এহেন আচরণের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মধ্যে পড়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ একই সঙ্গে ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস৷ এমনকি সহ উপাচার্যও এই ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ উপাচার্য এবং সহ উপাচার্যকে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এবং দেখা করতে শনিবার ঢাকুরিয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধন কর৷ অনুষ্ঠানের সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং তাঁদের শারীরিক অবস্থার সম্পর্কে খোঁজ নেন রাজ্যপাল৷ প্রায় কুড়ি মিনিট রাজ্যপাল সেখানে থাকলে শুয়ে শুয়েই সুরঞ্জন দাস কথা বলণ৷
বিষয়টি এই অবধি স্বাভাবিক ছিল কিন্তু যখন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ঘরে ঢুকলেন ঠিক ঘটল উল্টো ঘটনা, দাঁড়িয়ে উঠে সুরঞ্জন দাস শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে পুষ্পস্তবক নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা গ্রহণ করেন৷ এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় উপাচার্যের৷ একজন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হয়ে কী ভাবে রাজ্যের প্রধান এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দুরকম ব্যবহার করতে পারেন? এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে৷