বাংলা হান্ট ডেস্ক : চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের যেমন ছেদ পড়তে চলেছে ঠিক আমেরিকার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা৷ পাকিস্তানকে পাশে নিয়েই চীন বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করতে শুরু করেছে৷ ক্রমশই সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চিন যা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ যদিও চিনের এই বাড়বাড়ন্তের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী সরকারকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আগে যে সমস্ত সরকার ছিল তারা চিনকে প্রতি আর্থিক বছরে 500 বিলিয়ন ডলার সাহায্য করেছে৷কিন্তু তা যে বিশ্বের সমস্ত দেশগুলির চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে তার জন্য তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷
প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নিজেদের এগিয়ে রাখতে চিন ইতিমধ্যেই প্রতিরক্ষা খাতে 7 শতাংশ বাজেট বাড়িয়ে দিয়েছে৷ আর যা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে বলেই মনে করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তবে এই বাজেট বৃদ্ধির জন্য মার্কিন অর্থকেই চিন ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প৷ উল্লেখ্য দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন ও চীনের বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়৷ যদিও সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াশিংটন এবং বেজিং আলোচনা বৈঠকে বসেছিল কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান তো হয়নি উল্টে হংকং জুড়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ বাণিজ্যিক খাতেই নয় আকাশপথেও উড়ান বন্ধ করে দেয় চীন৷ আর এর পর থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে মার্কিন ও চীন সম্পর্কের পরিণতি আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে৷