বাংলাহান্ট ডেস্ক: রবিবার যশোরের কেশবপুরে থানার সামনে ধর্নায় বসলো এক দল হনুমান। এই হনুমানের দল এসে ডিউটি অফিসারের ঘরে ঢুকে পড়ে। রীতিমত নৃত্য করে বেড়ায় গোটা থানা জুড়ে। পরে তাদের খাবার খাওয়ানো হলে কিছুটা শান্ত হয় তারা। কিন্তু হঠাৎ থানায় কেন? তাদের অভিযোগ কি?
হনুমানজির খাবারে এখন তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তাই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে তাদের আসতে হচ্ছে লোকালয়ে। খাবার খুঁজতে সব হনুমান গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেভাবেই এক বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল একটি বাচ্চা হনুমান। কিন্তু গৃহস্থের লোকেরা তাকে খাবার না দিয়ে বরং মারধর করে।
এই ঘটনা থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে জয় হনুমানের দল। সবাই দল বেঁধে যায় যশোর থানায় অভিযোগ জানাতে। থানায় গিয়ে থানা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতে থাকে এ হনুমান গুলো। পরে তাদের খাবার খাইয়ে শান্ত করা হয়।
কেশবপুর উপজেলার বন কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শহর ও শহরতলী জুড়ে শতাধিক হনুমান রয়েছে। তাদের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৩৫ কেজি কলা, দু কেজি বাদাম ও দু কেজি পাউরুটি দেওয়া হয়। অতগুলো হনুমানের জন্য যতটুকু খাবার প্রয়োজন তা দেওয়া সম্ভব হয়না। ফলে হনুমানরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
অন্যদিকে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘একটি মা হনুমান কোলে বাচ্চা নিয়ে প্রথমে থানায় আসে। বাচ্চাটিকে মেরে আহত করা হয়েছে। এরপর ২০ থেকে ২৫ টি হনুমান থানার প্রধান গেটের সামনে এসে বসে। ও তারপর ডিউটি অফিসারের ঘরে ঢুকে যায়। পরে তাতে কিছু শুকনো খাবার দেওয়া হলে ঘন্টাখানেক পর তারা চলে যায়।’ হনুমান দের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন ভারপ্রাপ্ত থানার ওসি।