বাংলা হান্ট ডেস্ক : সেই প্রথমদিন হতেই স্বামীজী শ্রোতৃবর্গের সংস্পর্শে এসেছিলেন। অপরাহ্নর শেষদিকে তিনি অভ্যর্ধনার উত্তর দিলেন। যখন তিনি সরল ভারতীয় সম্বোধনে আমেরিকাবাসিগণকে ‘ভগিনী ও ভ্রাতা’ বলিয়া সম্ভাষণ করিলেন, যখন সেই প্রাচ্য সন্ন্যাসী নারীকে প্রথম স্থান দিলেন এবং সমগ্র জগৎকে নিজ পরিবার বলে ঘোষণা করলেন, তখন সেই মহাসন্মেলনে আনন্দের যে শিহরণ সঞ্চারিত হয়েছিল।
এই ধর্মমহাসভায় প্রদত্ত বক্তৃতাগুলির সাধারণ সিদ্ধান্ত এই যে, মানুষের ভ্রাতৃত্বই বহু-আকাঙ্খিত উদ্দেশ্য। এই ভ্রাতৃত্ব একটি স্বাভাবিক অবস্থা, কারণ সকলে একই ঈশ্বরের সন্তান-এ সম্বন্ধে অনেক কথা বলা হয়েছে।
১৯৮৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগোতে হিন্দু ধর্ম নিয়ে তাঁর বিখ্যাত ভাষণটি দিয়েছিলেন। মার্কিন মুলুকে যেখানে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কারোর সম্যক ধারণাই ছিল না, সেখানেই তিনি হিন্দু ধর্মের বিশ্ব দর্শন তুলে ধরেছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ সন্ন্যাস নেওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল “নরেন্দ্রনাথ দত্ত”।১২৬ বছর পর আরও এক “নরেন্দ্র “ফের ভারতের নাম তুলে ধরলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তার নাম নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি।
তিনি একাধিকবার আমেরিকাকে নিজের পরিবার ও ট্রাম্পকে নিজের কাছের বন্ধু হিসাবে সম্মোহন করেছেন। তিনি হিন্দুধর্মকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন এক অন্য আঙ্গিকে। তার কথা সুরে কেন বারবার ধ্বনিত হচ্ছিল সেই স্বামীজীর কথা কোথাও যেন দুটি বক্তৃতা মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে উৎপত্তি নিয়েছিল দুটি নরেন্দ্র, যার উৎপত্তিস্থল একি (নরেন্দ্র নর +ইন্দ্র)