বাংলা হান্ট ডেস্ক : এতদিন অবধি চিটফাণ্ড কেলেঙ্কারিতে রাজনীতি বিদদের নাম জড়িয়ে ছিল। এবার দেহ ব্যবসার কাজেও কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ছে। মধ্যপ্রদেশের মধুচক্র কেলেঙ্কারিতে দশ জন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাম প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই সমস্ত মন্ত্রীদের অধিকাংশই বিজেপির। আর মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই বিজেপি নেতৃত্বদের নাম প্রকাশ্যে আসায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া বাহিনী।
যদিও এই ঘনায় যুক্ত থাকা নেতা মন্ত্রীদের নাম এখনও প্রকাশ্যে নিয়ে আসেনি পুলিশ। তবে নারী সঙ্গের টোপ দিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক নেতা আমলাদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হত তা প্রকাশ্যে এসেছে। আর এতেই নাম জড়িয়েছে বেশ কয়েকজন তাঁবড় বিজেপি নেতাদের।
মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে একজন আবার কংগ্রেসের আইটি সেলের নেতার স্ত্রী। সবথেকে চাঞ্চল্যকর যে তথ্যটি প্রকাশ্যে এসেছে তা হল বিজেপি বিধায়ক বিজেন্দ্র প্রতাপ সিং-য়ের বাড়ি ভাড়া নিয়ে রমরমিয়ে চলছিল এই কারবার। তাই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি নেতা বাড়ি কাকে ভাড়া দিচ্ছেন তা কি জেনে দিয়েছিলেন নাকি তাঁর অজান্তেই সবকিছু হতো। যদিও তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে সিট প্রধান সঞ্জীব শামির দাবি এই কেলেঙ্কারিতে নাকিদুই কংগ্রেস ও বিজেপি নেতা যুক্ত আছেন। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে কলেজ ছাত্রীদের চাকরির লোভ দেখিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে জড়িয়ে ফেলতেন ওই মহিলারাই। তারপর বড় বড় রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তাঁদের পাঠিয়ে দিয়ে ভিডিও ক্লিপিংস নিয়ে তাঁদেরই ব্ল্যাকমেল করা হত।এই ফাঁদে পড়েছেন এক আইএএস ও ইন্দোরের এক পুরসভার আধিকারিক। যাঁদের দুই ও তিন কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে।