বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি গতিবিধির জন্য পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের থেকে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের (yasin malik ) বিরুদ্ধে।NIA এই মামলায় আগামী সপ্তাহে চার্জশিট দাখিল করতে চলেছে। NIA কাশ্মীর নিয়ে নিজের রিপোর্টে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনতে চলেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য জম্মু কাশ্মীর লিবারেসন ফ্রন্ট (JKLF) এর চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক এবং দুখরাত-এ-মিল্লত এর প্রধান আসিয়া আন্দ্রাবি এবং হুরিয়ত কনফারেন্স এর জেনারেল সেক্রেটারি মসরত আলম লস্কর-এ-তইবার প্রধান হাফিজ সাইদ এর থেকে মোটা টাকা নিত। এই টাকা কোটি কোটি টাকায় আসত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় এনআইএকে এদের সবার বিরুদ্ধে আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটি (UAPA) আইন অনুযায়ী মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
সুত্র অনুযায়ী, NIA যখন ইয়াসিন মালিকের ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছিল, তখন তাঁরা একটি ডিজিটাল ডায়েরি উদ্ধার করে। যেখানে জঙ্গি হাফিজ সাইদ এর স্নগথন জামাত-উদ-দাওয়া এর থেকে টাকা নেওয়ার কথা লেখা ছিল। এছাড়াও রাশিদ ইঞ্জিনিয়ার এবং মসরত আলমের বিরুদ্ধে NIA তল্লাশি চালিয়েছিল। তখনও হাফিজ সাইদের জঙ্গি সংগঠনের থেকে ফান্ড নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, NIA অ্যাক্টের মতো UAPA আইনেও বদল আনা হয়েছে। আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটি আইনে বদল আনার পর, এবার জঙ্গি কার্যকলাপের সাথে জড়িত ব্যাক্তিকে জঙ্গি ঘোষণা করা যেতে পারে। অথবা কোন মানুষকে মিথ্যে দোষ দিয়ে জঙ্গি বানালে, তাঁর উপর থেকে জঙ্গির তকমা মুছেও দেওয়া যেতে পারে। আপানদের জানিয়ে রাখি, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক এর আগেও অনেক মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। আর তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিল ভারতীয় সেনার পাইলটদের হত্যা। কিন্তু প্রাক্তন কংগ্রেস সরকার ইয়াসিন মালিক এবং তাঁর সংগঠনকে সংরক্ষণ দিত। এমনকি তাঁকে দিল্লীতে ডেকে কংগ্রেস নেতা এবং মন্ত্রীরা আবাসে নিয়ে গিয়ে বিরিয়ানিও খেতেন।