বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রতি মধুচক্রের ব্যবসা মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কখনও ছেলে মেয়েদের কাজের টোপ দিয়ে অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত করতে বাধ্য করা হচ্ছে আবার কখনও মধু চক্রকে পেশা হিসেবে নিয়েছে যদিও বেশ কয়েকটি মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ তবে আবারও বড় ধরনের মধুচক্রের সন্ধান মিললেও এ রাজ্যেই৷ দুর্গাপুরের কাঁকসার বাঁশকোপা কাছে রিটজ নামের একটি হোটেলে সেই মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করল গ্রামবাসীরাই৷ পাশাপাশি ওই এলাকার আরও একটি হোটেলে মধুচক্রের খবর পেয়ে হোটেলে জয় শ্রী রাম ধোনি দিয়ে চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা৷
সোমবার রাতে গ্রামের বাসিন্দারা হোটেলে কয়েক জনকে ঢুকতে দেখে এবং তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এর পর পুলিশ সেখানে এসে ঘটনাস্থল থেকে তিন মহিলা ও দুই পুরুষকে বের করে আনে৷ দীর্ঘ দিন ধরেই হোটেলে মধুচক্র চলছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন গ্রামবাসীরা কিন্তু, তাতে তেমন আমল দেননি বলেই অভিযোগ৷ তাই এ দিন হোটেলের ভিতরে রমরমিয়ে মধুচক্র চালানোর জন্য হোটেল মালিকের গ্রেফতারের দাবি তোলেন গ্রামবাসীরা৷ পাশাপাশি হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা৷ উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পাঁচ জন মহিলা ও পুরুষ অনলাইনে হোটেল বুক করে এখানে এসে উঠেছিল৷ যেহেতু তারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে হোটেলে ঢুকেছিল তাই তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ৷ তবে হোটেল মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ৷ মধুচক্রের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ, এমনকি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হোটেলের বদনাম করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ৷
অন্যদিকে সোমবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা বাঁশকোপা টোল প্লাজার কাছে একটি হোটেলে মধুচক্রের অভিযোগ তুলে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা৷ হোটেলের কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি এবং সেখানে বছর চালানো হয় বলে অভিযোগ৷ এমনকি কয়েকজন মহিলা গ্রাহকদের শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে পুলিশ৷