মহারাজা মনিন্দ্রচন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের পুজো মেতে ওঠে ওদের সাথে।

 

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজ পঞ্চমী। উমার বাড়ির ফেরার সময় হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরতলীর মানুষ ভেসেছে বাঙালির সবথেকে বড় উৎসবের আনন্দে। রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল। ব্যাস্ত আম জনতা হোক বা পুজো উদ্যোক্তারা সকলেই,  হোটেল রেস্তোরা ও ভিড়ে ঠাসা। এই ব্যস্ততার মাঝে আমরা ভুলে যাই, এটা তাদের ও পুজো। উমা তাদের ও মা। কিন্তু ওদের কথা ভোলে না মহারাজা মনীন্দ্র চন্দ্র কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগ।বিগত ৯ বছর ধরে পথশিশুদের সাথে একসাথে মিলে মিশে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছে এই ছাত্র ছাত্রীরা। কোনো বছর চতুর্থী, কোনো বছর পঞ্চমী। বিশেষ একটি দিনে এই পথশিশুদের নিয়ে পুজো পরিক্রমার আয়োজন করা হয় এই বিভাগ থেকে।

pujo porikroma 2 pujo porikroma 3

সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীরা এই পরিক্রমার আয়োজন করে মিলে মিশে। ৯ বছর আগে এই বিভাগের মুখ্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ দাস মহাশয়ের উদ্যোগে শুরু হয় এই পরিক্রমা।তবে শুধুই পরিক্রমা নয়, তাদের জন্য থাকে নতুন জামা কাপড় এবং খাবার দাবারের ব্যবস্থা। তার সাথে এয়ার কন্দিশন্ড বাসে করে তাদের কলকাতার নাম করা পুজো ঘুরিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা হয়।

pujo porikroma

তাদের মুখের হাসিতে ছড়িয়ে পড়ুক পুজোর আনন্দ। নতুন জামা কাপড় পরে তারাও মেতে উঠবে উমার আসার আনন্দে, এই পরিকল্পনা নিয়ে এই বছরও চতুর্থী র দিন কলকাতার রাজাবাজার বস্তির ৭০ জন পথশিশুকে নিয়ে হয় তাদের এই পরিক্রমা আয়োজিত হয়। বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা সেইসব শিশুদের সাথে একসাথে পালন করে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব।এইদিন লালবাগান নবাঙ্কুর, নিউটাউন এ এ ব্লক, সল্টলেক এফ ডী ব্লক,সল্টলেক বী জে ব্লকের মতন কলকাতার বিখ্যাত পুজো গুলোতে তারা একসাথে মেতে ওঠে। প্রতি বছরের এই পরম্পরা কে বছর বছর এগিয়ে নিয়ে যাক কলেজের বর্তমান ও আগামি দিনের পড়ুয়ারা।

সম্পর্কিত খবর