বাংলা হান্ট ডেস্ক ,পশ্চিম মেদিনীপুর:- শিশু শিল্পী হাতে প্রাণ পেল দুর্গ্গা ঠাকুর । ঘাটালের হাটপড়া গম্ভীরনগর গ্রামের সৌজন্য দত্ত ছোট থেকেই শিল্প কলায় পারদর্শী। তার ক্ষুদে প্রতিভার বিকাশ পায় সে যখন চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র। মাটি দিয়ে বানিয়েছিল কালী প্রতিমা। গ্রামের মধ্যেই রয়েছে কুমোর পাড়া। সুযোগ পেলেই সেখানে গিয়ে দেখতে থাকে কুমোররা কিভাবে মাটির জিনিষ তৈরি করেন।
সেখানেই সে দেখতে থাকে প্রতিমা গড়ার কাজ। নিজের মধ্যে শিল্পী হওয়ার বাসনা জাগতে থাকে। বাবা সৌমেন দত্তের উপহার সামগ্রীর দোকান রয়েছে। সেখানে বসে দেখে কি সুন্দর সব মডেল, পুতুল , শো পিস সব সাজানো। মনের মধ্যে ইচ্ছে হয় এসব বানানোর। বাড়িতে এসে মাটি , বাঁশ , কাঠ , রং নিয়ে বানিয়ে ফেলে কত পুতুল। ভাই সৌহার্দ্য বলেছিল তুই কি দুগ্গা ঠাকুর বানাতে পারবি ? ভাইয়ের কথা মনে ধরে যায়। কাজ কঠিন , তবু সংকল্প নিয়ে নেমে পড়ে।
তিনমাস ধরে পড়াশোনার ফাঁকে শুরু হয় দুর্গা ঠাকুর বানানোর কাজ। বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চমীর দিন তার কাজ শেষ হয়। দশ হাতের দুর্গা। সব হাতে অস্ত্র। সিংহের পিঠে চড়ে অসুরকে বধ করছেন। দুইপাশে লক্ষী , গণেশ আর সরস্বতী , কার্তিক । রয়েছে তাঁদের বাহন। এদিন দুপুরে নিজের বাড়িতে হাতে বানানো দুর্গার সামনে বসে ছবিও তুলল সৌজন্য।
সে জানায় , বড় হয়ে মৃৎশিল্পী হতে চায়