বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালিদের পুজোর পর সীদুর খেলা বাঙালিদের মননে এক আলাদা স্মৃতি এনে দেয়। আর বিয়ের পর প্রথম পুজোয় সিদূর খেলা তো এক আলাদা অনুভুতি। সদ্য বিবাহিতা সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের ও বিয়ের পর প্রথম পুজো।আলাদা কোনো প্ল্যানিং এ নয় বরং তাই আর পাঁচজন মনে প্রাণে বাঙালির মতনই বাঙালিয়ানা তে মেতে ছিলেন নুসরত। ষষ্ঠী থেকে দশমী তিনি মেতেছিলেন পুজোর আনন্দে। অষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে কোমরে শাড়ি গুঁজে ঢাক বাজানো, কিংবা ধুনুচি নাচ, নবমীর ভোগ প্রসাদ, বাদ দেননি কিছুই। ত্রয়োদশীর দুপুরে মানিকতলার লোহাপট্টি চালতাবাগানে বিসর্জনে এসে সিদুর খেলায় মাতিয়ে তুললেন নুসরত। সাথে ছিলেন স্বামী নিখিল। সাবেক লাল পাড়-সাদা শাড়ি আর তার সাথে গা-ভর্তি গয়না, ঠিক যেন নিরেট বাঙালি কন্যা টি। পুরো শাড়ি জুড়ে জরির কাজ। আর নিখিল পরেছিলেন সাদা রঙের কুর্তা। তাদের মেতে ওঠার মধ্যে দিয়েই ছড়িয়ে পড়ছিল তাদের সুখের নব দাম্পত্যের রেশ, মা দুর্গার সামনেই নিখিল রাঙিয়ে দিলেন তাঁর সিঁথি।।
বরণডালা নিয়ে রীতি-নীতি মেনেই মাকে বরণ করে নিলেন নুসরত। আর তারপর নিজেদের মধ্যে খুনসুটিতেও মাতলেন নবদম্পতি।হিন্দু রীতি-নীতি পালনের জন্য বারেবারেইকট্টরপন্থীদের বিরাগভাজন হয়েছেন নুসরত। কিন্তু তারও সপাটে জবাব দিলেন তিনি। বললেন, “আমি ঈশ্বরের বিশেষ সন্তান। আমার একটাই ধর্ম। তা হল মানবতা।” সিঁদুর খেলা শেষে নুসরত সোজা চলে গেলেন রেড রোডের বিসর্জনের মেগা কার্নিভালে। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিমার আগে হেঁটে এলেন তিনি। যোগ দিলেন নাচেও। সঙ্গে স্বামী। বলাই যায় সুখী দম্পতি সত্যিই সুখে আছে।