বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নদীয়া জেলায় বিজেপি কর্মী দাবি করা এক দোকানদারকে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রীর সামনে গুলি করে হত্যা করে দেয়। পুলিশের আধিকারিক শনিবার জানান, ৫২ বছর বয়সী হরলাল দেবনাথ শুক্রবার রাতে রানাঘাট থানার অন্তর্গত হবিবপুরে তাঁর দোকানের সামনে তাঁকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার মৃত হরলাল দেবনাথকে বিজেপির কর্মী বলে দাবি করেছেন। আর তিনি এই হত্যার পিছনে তৃণমূলের হাত আছে বলে জানিয়েছে। যদিও ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল দল বিজেপির সাংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছে, এই হত্যার পিছনে তাঁদের হাত নেই। এমনকি তৃণমূলের তরফ থেকে মৃত হরলাল দেবনাথকে নিজের দলের কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে।
হরলাল দেবনাথ এর স্ত্রী চন্দনা দেবনাথ জানান, ‘আমি দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই সময় দুজন ব্যাক্তি দোকানে ঢুকে আমার থেকে বাদাম আর চানাচুর চায়। আমি তাঁদের বাদাম আর চানাচুর দেওয়ার সময় হঠাত করে বিকত শব্দ শুনে কেঁপে উঠি। বাইরে এসে দেখি, আমার স্বামীকে গুলি করে মারা হয়েছে। ততক্ষণে ওই দুষ্কৃতীরা দোকান ছেড়ে পালিয়ে যায়।”
এই ঘটনার পর হরলালের স্ত্রী চন্দনা চিৎকার করে ওঠেন। ওনার চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড় হয়। আর তাঁরা অতি স্বত্বর হরলালকে চিকিৎসার জন্য রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ওনার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে, হরলাললে কল্যানির জওহর লাল নেহেরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা ওনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রানাঘাটের জেলা পুলিশ নির্দেশক বিসিআর অনন্তনাগ জানান, ‘আমরা এই ঘটনার তদন্তে নেমেছি।” নদীয়া দক্ষিণ এর বিজেপি সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘হরলাল আমাদের বুথ স্তরের কর্মী চিলেন। আর তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তৃণমূল থেকে প্রথমে ওনাকে হুমকি দেওয়া হত। আর এবার ওরা ওনাকে মেরেই ফেলল।”