বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান সংযুক্ত রাষ্ট্রের মহাসভায় কাশ্মীর ইস্যু তোলার জন্য এবং ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) এর বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গ দেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রস্তাবিত তুরস্ক যাত্রা স্থগিত করে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি বড় বিনিয়োগ সন্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য ২৭ থেকে ২৮ অক্টোবর সৌদি আরব যাচ্ছেন। সেখান থেকে উনি তুরস্ক যেতেন, কিন্তু এখন আর যাবেন না। শোনা যাচ্ছে যে, পাকিস্তানের প্রতি তুরস্কের প্রীতির কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তুরস্ক আর ভারতের মধ্যে সম্পর্ক অন্যান্য দেশের সাথে ভারতের যেরকম ভালো সম্পর্ক সেরকম কোনদিনও ছিলনা। কিন্তু তুরস্কের যাত্রা স্থগিত কররার পর দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অঙ্কারা যাত্রা নিয়ে দুই দেশেরই সহমতি ছিল। আর এই যাত্রায় অন্যান্য ইস্যু ছাড়া ব্যাবসা বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা সহযোগ নিয়ে কথা হত।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে চীন প্রথমে পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল, এমনকি চীন কাশ্মীর ইস্যু রাষ্ট্র সঙ্ঘেও তুলেছিল! কিন্তু সেখানে দুই দেশই শুধু ব্যার্থতার সন্মুখিন হয়। ভারত যখন পাকিস্তানের জঙ্গি হাফিজ সাইদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করার জন্য চেষ্টা করছিল, তখনও চীন মাঝে এসে নাক গলায়। কিন্তু ভারতের একান্ত চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে, শেষে তাঁরাও হাফিজ সাইদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দিতে বাধ্য হয়।
আরেকদিকে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা, আর তাঁদের ভরণ পোষণ করার জন্য ভারত ইসলামাবাদকে ব্ল্যাক্লিস্টে ফেলার জন্য সুপারিশ করে। তুর্কি, চীন আর মালয়শিয়া একসাথে পাকিস্তানের সমর্থনে এসে তাঁদের তড়িঘড়ি ব্ল্যাকলিস্টে না ফেলার আবেদন করে কিছু সময় দেওয়ার কথা জানায়।