কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুরে প্রায় ৫০হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি,করিমপুরে মাত্র ১৪হাজার ভোট কম

বাংলাহান্ট-সব শেষে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল রাজ্য বিজেপি। ২৫ নভেম্বর বাংলায় কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর ও খড়গপুর সদরে তিনটি আসনে উপনির্বাচন হবে বলে ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন।

কালিয়াগঞ্জ আসনে প্রার্থী হয়েছেন কমলচন্দ্র সরকার, খড়গপুর সদর কেন্দ্রে প্রেম চাঁদ ঝাঁ ও করিমপুর আসনে রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কে প্রার্থী করলো।

tmc bjp fb 2
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপির রাজ্যে সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফলে খড়গপুর আসনটি ফাঁকা হয়। নদীয়াতে মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণ নগর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়।ফলে করিমপুর আসনটি শূন্য হয়। কালিয়াগঞ্জ আসনটি কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যু হয় ফলে, বেশ কিছুদিন আসনটি শূন্য হয়।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ উপনির্বাচনে তিনটি আসনে জিতবেন বলে দাবি করেছেন তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ বিজেপিকে চাইছেন। আমরা তিনটি আসনেই জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। এদিকে তৃনমুল ও তাদের প্রচার শুরু করে দিয়েছে। সিপিএম ও কংগ্রেস ও জোট নিয়ে লড়াই শুরু করেছে। ফলে এই তিনটি উপনির্বাচনে লড়াই হবে তিনমুখি। এখন দেখার বিশয় শেষ হাঁসিকে হাঁসে।

PicsArt 11 03 03.10.39
এদিকে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে যে ফলাফল হয়েছে তার মধ্যে কালিয়াগঞ্জ এ বিজেপি ৫৬হাজার ৭৬২ ভোটে এগিয়ে আছে এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা খড়গপুর সদর সেখানে বিজেপি ৪৫হাজার ১৩২ভোটে এগিয়ে আছে।

নদীয়া করিমপুর তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে ১৪ হাজার ৩৪০ভোটে অর্থাৎ বিধানসভা উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ যদি তাদের ফলাফল ধরে রাখতে পারে তাহলে বড় মার্জিনে জিততে চলেছে বিজেপি রাজনৈতিক মহল এমনটাই মনে করছে।

PicsArt 11 02 07.44.04

এদিকে খড়গপুর সদর যেহেতু দিলীপ ঘোষের নিজের বিধানসভা ছিল সেইজন্য সেখানেও ৪৫ হাজার ১৩২ভোটে এগিয়ে আছে। বিজেপি যদি তারা তাদের লোকসভার ফলাফল ধরে রাখতে পারে তাহলে বিজেপি এই আসনটি জয়লাভ করতে পারে, ইতিমধ্যে বিজেপি খড়্গপুরে জোরদার প্রচার শুরু করেছে।

 

করিমপুর তৃণমূল তাদের প্রচার শুরু করলেও বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার কে প্রার্থী করেছে বিজেপি, ফলে সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে এক প্রকার নিশ্চিত এবং সেখানে কড়া টক্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৪হাজার ৩৪০ভোটের ফলাফল তৃনমূল এগিয়ে থাকলেও বিজেপি সাত হাজারের বেশি ভোট যদি পায় তাহলে তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করতে পারে। এই আসনটি বিজেপি জয়লাভ করতে পারে। এখন দেখার বিষয় শেষ হাসি কে হাঁসে। জন্য ২৮ তারিখে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর