জানুন রামলালা বিরাজমানের ইতিহাস, যার হাতে বিতর্কিত জমির মালিকানা তুলে দিলো সুপ্রিম কোর্ট

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অযোধ্যা (Ayodhya) ভূমি বিবাদ মামলায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) ৯ই নভেম্বর আজকের দিনে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করল। আদালত ১০৪৫ পাতার নিজের সিদ্ধান্তে রামলালা বিরাজমানের (Ram Lalla Virajman) হাত সম্পূর্ণ জমি তুলে দিয়ে মন্দির বানানোর রাস্তা পরিস্কার করে দেয়। আর এর সাথে সাথে অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) বানানোর ব্যাবস্থাও করে দেওয়া হয়। রামলালা বিরাজমানের হাতে বিতর্কিত জমি তুলে দেওয়ার সাথে সাথে সুপ্রিম কোর্ট নির্মাহি আখারার দাবিও খারিজ করে দেয়। এছাড়াও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যায় অন্য কোথাও পাঁচ একর জমি দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে।

অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মালিকানা হকের লড়াই আজ থেকে প্রায় ১৩৫ বছর আগে ১৮৮৫ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই মামলায় হিন্দু পক্ষ রামলালা বিরাজমানকেও একটি পক্ষ বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ১৯৮৯ সালে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, রামলালা বিরাজমানকে পক্ষ বানানোর জন্য প্রসিদ্ধ আইনজীবী তথা ভারতের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল লাল নারায়ণ সিনহা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

ভারতীয় আইন অনুযায়ী, হিন্দু দেবতা অভিযোগ দায়ের করতে পারে, আর হিন্দু দেবতার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়া যেতে পারে। হিন্দু দেবতাকে ‘ন্যায়িক ব্যাক্তি” মানা যেতে পারে। অযোধ্যার ভগবান রামকে শিশু রুপে মানা হয়, আর ভগবান রামের এই শিশু রুপ আইন অনুযায়ী নাবালক। আর রামলালা বিরাজমান স্বয়ং ভগবান, যার হাতে সম্পূর্ণ জমি তুলে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে জন্মভুমির এই মোকদ্দমায় প্রথমে ভগবানের রামের প্রতিনিধিত্ব করত ওনার মানব মিত্র বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বরিষ্ঠ নেতা ত্রিলোকি নাথ পাণ্ডে। দিবানি আদালত থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে মামলা স্থানান্তরিত হওয়ার পর ১৯৮৯ সালে রামলালা হিন্দু পক্ষ রুপে উঠে আসে।

১৯৯৮ সালে সাধারণ নির্বাচনের আগে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেবকি নন্দন আগরবাল একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন, ওই আবেদনে বিতর্কিত জমির মালিকানা অধিকারের জন্য রামলালা মামলায় মিত্র হওয়ার দাবি করেছিলেন। উনি সেই সময় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকারী সভাপতি ছিলেন। উনি নিজের দাবিতে জানিয়েছিলেন যে, ভগবান রাম এই সম্পত্তির আসল মালিক।

সম্পর্কিত খবর

X