বাংলা হান্ট ডেস্ক : সদ্য সমাপ্ত সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের ভয়াবহ ভরাডুবি হয়েছে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে তৃণমূলের হার আবার কোনও কোনও কেন্দ্রে বি জেপির কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে।তাই তো বিজেপির আগ্রাসী মনোভাবকে রুখতে এবং বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা পুনর্দখল নিয়ে দু বছর আগে থেকেই রণনীতি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল সরকার। নিয়োগ করা হয়েছে ভোট গুরু প্রশান্ত কিশোরকে। 294 টি আসনে বিধানসভা নির্বাচন হবে, যদিও ইতিমধ্যেই বিজেপি তৃণমূলকে একটিও আসন পাবে না এমনটাই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে তবে প্রশান্ত কিশোরের সমীক্ষা বলছে অন্য কথা।
সংরক্ষিত আসনের 60 এটির ওপর জুড়ে রয়েছে তৃণমূলের ভাগ্য। অর্থাত্ লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত তফসিলি জাতি ও উপজাতি ভোট হারাতে হয়েছে সেগুলি ফিরিয়ে আনতে পারলেই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের দুটি আসন একেবারে নিশ্চিত বলে জানাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের সমীক্ষা। সম্প্রতি, সংরক্ষিত আসনগুলি থেকে দলীয় বিধায়ক জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং সাংগঠনিক সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে এ কথাই বললেন প্রশান্ত কিশোর।
হিসেবের নিরিখে দেখা গেছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল যে সমস্ত জায়গায় মুখ থুবড়ে পড়েছে তার বেশির ভাগটাই 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী আসন। আর সেই সমস্ত আসনে বিজেপির ভোট সংখ্যা তৃণমূলের থেকে কিছুটা হলেও বেশি। কিন্তু বিধানসভা লিখে দেখা গেছে 58 টি আসন তৃণমূলের দখলে। তাই এক প্রকার তফসিলি জাতি ও উপজাতি সংরক্ষিত আসনগুলিতে টিকিয়ে রাখতে পারলেই বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয় অবশ্যম্ভাবী এমনটাই জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
তবে মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে সেই সমস্ত তফসিলি জাতি ও উপজাতির অঞ্চলগুলির ধস নামার কারণ কি? এই বিষয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় জনপ্রতিনিধিদের জনবিচ্ছিন্ন তাঁর উদ্বেগের কারণকে দায়ী করেছেন। তাই সংরক্ষিত আসনগুলি থেকে ভোট পেতে এ বার তৃণমূল বিধায়করা উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় গৃহ প্রকল্প বাড়ানোর সহ একাধিক সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।