বাংলা হান্ট ডেস্ক : আকাশ মহাকাশ বিশ্ব এই মহাজাগতিক এক বিশাল সংসারের ভারত আধিপত্য বিস্তার করতে চলেছে। কখনো পাতালে তো কখনো মহাকাশে ভারত একাধিকবার নিজের বিজ্ঞানী অস্ত্র শান দিয়ে পাঠিয়েছে। একাধিক মহাকাশযান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো)। কেন এই মহাকাশ থেকে নজরদারি? সূত্রের খবর, সীমান্তে পাকিস্তান নানা ছক করছে। একদিকে নাশকতামূলক কাজ অন্যদিকে জঙ্গি ঢুকিয়ে দেওয়ার ছক। শুধু তাই নয়, ড্রোন পাঠানো থেকে শুরু করে চীনের আগ্রাসন ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। তবে এই উন্নত প্রকল্প বাস্তবায়নে নজরদারিতে এক বিশাল ভূমিকা নেবে তা বিশেষজ্ঞরা মতামত ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু কীভাবে সফল হওয়া যাবে? জানা গিয়েছে, মোট তিনটি আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। তার মধ্যে প্রথম উপগ্রহটি পাঠানো হবে আগামী ২৫ নভেম্বর সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে এবং বাকি দুটি পাঠানো হবে ডিসেম্বর মাসে। এর জন্য প্রস্তুতিপর্ব প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এই তিনটি প্রধান কৃত্রিম উপগ্রহের পাশাপাশি তিনটি পিএসএলভি রকেট মহাকাশে নিয়ে যাবে ২৪টির বেশি ন্যানো ও মাইক্রো উপগ্রহ। ভারতের বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটা একটা অভিনব প্রকল্প হতে চলেছে। আর সাক্ষী হতে চলেছে ইসরো।
ইসরো সূত্রে খবর, শ্রীহরিকোটা থেকে পিএসএলভি সি–৪৭ রকেটটি করে মহাকাশে পাঠানো হবে তৃতীয় জেনারেশনের আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট কার্টোস্যাট–৩। এছাড়াও এই রকেটেই যাবে আমেরিকা থেকে আমদানি করা ১৩টি বাণিজ্যিক ন্যানো স্যাটেলাইট।
আমেরিকার সাথে ভারতের বিজ্ঞান মহলে এই জোট অনেকটাই সার্থক হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ডিসেম্বর মাসে শ্রীহরিকোটা থেকেই আরও দুটি সার্ভিলেন্স স্যাটেলাইট রিস্যাট–টুবিআর১ এবং রিস্যাট–টুবিআর২ পাঠানো হবে। পিএসএলভি সি৪৮ এবং পিএসএলভি সি৪৯ রকেট এই দুটি উপগ্রহকে মহাকাশে নিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের নভেম্বরে উপগ্রহ পাঠানো হলেও ২০২০ সালের নভেম্বরে পাঠানো হতে পারে চন্দ্রযান–৩। যার কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে চলছে। এই কাজ নিয়ে কেন্দ্র সরকার অর্থের দিক দিয়ে কোনরকম কমতিও রাখতে চাচ্ছে না।