বাংলা হান্ট ডেস্ক : এক সময় নন্দীগ্রামের মানুষ বিমুখ হয়ে গিয়েছিলেন। আর নন্দীগ্রাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে কার্যত এক দশক আগেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এসেছে শাসক শিবির। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সিপিএম ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। শুধু নন্দীগ্রাম নয় রাজ্যের প্রায় বেশির ভাগ জায়গাতেই সিপিএমের অস্তিত্ব মুছে গেছে কিন্তু এরই মধ্যে নন্দীগ্রামেই দলীয় সভায় নতুন করে অক্সিজেন পেল সিপিএম।
বছর তিনেক পর পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে সভা করে কার্যত জনজোয়ারে স্তম্ভিত হল সিপিএম, আনন্দে আত্মহারা হয়ে থমকে গিয়েছিলেন লাল পার্টির কিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা। নন্দীগ্রামের চণ্ডীপুরের বিনয় স্মৃতি ফুটবল মাঠে এন আর সি বিরোধিতার সভায় জনসমুদ্র দেখে কিছুটা হলেও আশায় বুক বেঁধেছে সিপিএম । দীর্ঘ আট বছর পর জনসভায় এ রকম ভিড় দেখে সভার মূল বক্তা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম এবং জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি সকলেই খানিকটা অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
তবে শুধুমাত্র এনআরসি বিরোধিতার সভায় নয় সঙ্গে চাকরির দাবি ও তৃণমূল ও বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে সকলকে একজোট হওয়ার বার্তা দেওয়ার এক মঞ্চ হয়ে উঠেছিল বিনয় স্মৃতি মাঠ। শেষ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমকে একেবারে গোহারান হারতে হয়েছে যদিও শুধুমাত্র নন্দীগ্রামে নয় গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আসতে আছে সিপিএম বিমুখ হয়ে গিয়েছিল যদিও ঐতিহাসিক পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে শাসক শিবিরের সন্ত্রাসকেই দায়ী করেছিল সিপিএম, একই সঙ্গে টাকা কেও।
যদিও আজ বিজেপি ও তৃণমূলের অপশাসন আঁতাঁত বুঝে সিপিএমের সভায় ভিড় জমিয়েছেন মানুষ এমনটাই বলছেন দলীয় নেতৃত্বরা। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট ঠিক হলে আবারও জেলায় লাল ঝান্ডা উড়বে এমনটাই জনজোয়ার দেখে আশাবাদী নেতৃত্বরা। তাই তো কেউ কেউ বলছেন শেষ আট বছরের পরিবর্তন আনতে পারে লাল বাহিনী।