গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু,অভিযোগের তির শ্বশুর বাড়ির দিকে

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ১৭ ই নভেম্বর -বছর না ঘুরতেই চাকদহের এক গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নাম মনিষা দাস মল্লিক বয়স ১৯ বছর।মনিষার মার লিখিত অভিযোগ চাকদহ থানায়।স্বামী রাকেশ মল্লিক,শ্বশুর মাধব মল্লিক,শ্বাশুড়ি আরতি মল্লিক,ননদ পিঙ্কি মুখার্জী এবং ননদায় রাজীব মুখার্জীর বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটে নদিয়া চাকদহ পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে লোকনাথ নগরে (ব্যাঙ্ক পাড়া)গতকাল আনুমানিক দূপুর বারোটা নাগাদ রাকেশ দের বাড়ির সামনে ভির।তা দেখে অনেকেই এগিয়ে আসে।দেখে শ্বাশুড়ি আরতি মল্লিক বসে।এবং মনিষা খাটে শুয়ে আছে।এই দেখে সবাই ধরাধরি করে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার রা মৃত বলে ঘোষনা করে।

পড়শি কৃষ্ণ দাস বলেন,সকালে দোকানে যাবার সময় শ্বাশুড়ি ও বৌয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল।দোকানে পৌছানোর পর আমার বাড়ি থেকে ফোন আসে মনিষা শুয়ে আছে কথা বলছে না তুমি শিগশিগ আসো।কি থেকে কি হলো বুঝতে পারছি না।বাড়িতে যেযার কাজে যায়।এক মাএ শ্বাশুড়ি ও বৌমা থাকে প্রায় দিনই শ্বাশুড়ি বৌয়ের ঝগড়া হয় পরে ঠিক হয়ে যায়।তবে কি মৃত্যু হলো বুঝতে পারছি না।ঘর থেকে বের করার সময় কিছু দেখতে পায়নি।উত্তর চব্বিশ পরগনার হালিশহর নিল পুকুর পাড়ায় মনিষাদের বাড়ি।মা মন্জু দাস বিড়ি বেঁধেই সংসার ও মেয়ের পড়াশুনা চালাতেন।স্বামী অনেকদিন আগেই মারা যান।মনিষা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর গত ১৩ ই মার্চ ২০১৮ সালে দেখে শুনে বিয়ে দেন চাকদহ পৌরসভার একনম্বর ওয়ার্ডে পালপাড়া লোকনাথ নগরে রাকেশ মল্লিকের সাথে।রাকেশ পেশায় চেন্নাই এর এক বেসরকারি হোটেলের ম্যানেজার।

শ্বশুড় একটি বেসরকারি গেন্জী কারখানায় কাজ করেন।বাড়িতে শ্বাশুড়ি ও বৌমা ছাড়া কেউ থাকে না।একমাএ ননদ পিঙ্কির বিয়ে হয়েগেছে।

IMG 20191120 WA0028

প্রতিদিনের মতোন গতকাল শনিবার ও কথা কাটাকাটি হয় তারপর মনিষার মৃত্যূ।মনিষার মা ও লোকনাথ নগরের শ্বশুর বাড়ির পাশাপাশি মানুষ জনেরা মেনে নিতে পারেনি মনিষার মৃত্যুকে।মনিষার মা মন্জু দেবী বলেন,মেয়ের উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পর সমন্ধ আসে বিয়ের।রেজাল্ট দেখতে চাইলে দেখায়।তারপর বিয়ে হয়।জামাই বলেছিল কলেছে পড়াবো সেই মতো ২০১৯ সালে ইংরাজি তে অর্নাস নিয়ে ভর্তী করে দেয় চাকদহ কলেজে।বেশ ছিল শুধু শ্বাশুড়ির সাথে বনিবনা হচ্ছিল না বিয়ের পর থেকে।গত ২৪ তারিখে জামাই চেন্নাই থেকে বাড়ি আসে। তের তারিখে আবার চলে যায়।ছেলে ও বৌ এক সাথে এই কদিন এক সাথে ছিল।যেই জামাই চলে গেল অমনি আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার বেড়ে গেল।শ্বাশুড়ি ননদ মিলে আমার মেয়ে টা কে মেরে ফেললো।ননদা জামাই একবার ও দেখতে গেল না।আমার মেয়েকে যারা মেরেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি যেন পায়।এলাকার মানুষ ও শাস্তি চাই।মনিষার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।চাকদহ থানায় আই পিসি ৪৯৮ এবং৩০৪ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।চাকদহ থানার পুলিশ মৃতদেহ টি আজ রবিবার কল্যানী পুলিশ মর্গে ময়না তদন্তে পাঠায়।তদন্তে চাকদহ থানার পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর