5 ব্রহ্মাস্ত্র ব্যবহার করেই ফিরে এলো তৃণমূল !

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথাতেই আছে অতি বাড় বেড়ো না! ঠিক তেমনটাই হল এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা উপনির্বাচনেই। লোকসভা ভোটেই আঠারোটি আসনে জয়লাভ করার পর বিজেপি কার্যত রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করে অহংকার দেখাতে শুরু করেছিল আর বিজেপির সেই দম্ভ কার্যত এক ধাক্কায় ভেঙে দিল শাসক শিবির। মুখে কথা না বলে কাজে করে দেখিয়েছে কারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তো লোকসভা ভোটের ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে রণনীতি তৈরি করে একেবারে ছক্কা মেরে দিলেন।774459 714504 mamata afp

বিধানসভা নির্বাচনকে টার্গেট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরে আসতে মরিয়া হয়েছিলেন আর ঠিক তখনই আত্মবিশ্বাস দেখিয়ে গোটা রাজ্যে আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছিল বিজেপি আর তাই উপনির্বাচনে তিন তিনটি কেন্দ্রে রাজ্যের শাসক শিবিরের জয় হল। আর কেন হবে নাই বা কেন? পাঁচ কোটি ব্রহ্মাস্ত্র নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো ও। আর সেগুলি হল-

. প্রতি শুক্রবার প্রতিটি জেলা ধরে ধরে বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখানকার ব্লক স্তরের নেতা থেকে বিধায়ক বা সাংসদ সফরের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন তার পর উন্নয়ন করতে গেলে কী কী করতে হবে? সেই সমস্ত দাওয়াইও দিয়েছেন তিনি।

. মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেদিনীপুর এবং নদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে রীতিমতো পাখি পড়ানো করে বুঝিয়ে যাচ্ছেন।

. এই প্রথম রাজ্যের উপনির্বাচনকে ঘিরে ইস্তেহার পত্র প্রকাশিত হয়েছে, শাসক শিবিরের তরফে ইস্তেহার পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। উপনির্বাচনের আগে একেবারে কোমর বেঁধে তিনটি কেন্দ্রে কাজ করেছে শাসক শিবির।

. দিদিকে বলে হলেও উপনির্বাচনের অন্যতম দাওয়াই। সাধারণ মানুষের ফলাফল দিদিকে ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে বলার জন্য ব্লক স্তরের নেতা নেত্রী থেকে কাউন্সিলাররা প্রচার চালিয়েছেন।

. রাজ্য জুড়ে যে ভাবে এনআরসির বিরোধিতা করেই সুর ছড়িয়েছেন তা উপনির্বাচনের ফলাফল ভাল হওয়ার অন্যতম ওষুধ বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।

সম্পর্কিত খবর