বাংলা হান্ট ডেস্ক : পশ্চিম এশিয়ার দেশ গুলি এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলির মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে খেলা যখন প্রতিনিয়ত একটা অঘোষিত নিয়মের পর্যায় দাঁড়িয়েছে। তখন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সম্পর্কের তিক্ততা ও অনেকটা তলানীতে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ‘পরিপূর্ণ এবং বিস্তৃত’ যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। সােমবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের এলিসি প্যালেসে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর এ ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি ঘােষণা করা হয়েছে।এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পর
দুই দেশের সরকার কিছু নীতি আরোপ করেছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের ভাদিমির জেলেনস্কির মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। এর আগেও এই অংশ নিয়ে বহুবার বৈঠক হলেও তা ভেস্তে যায়।
সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন হওয়ার পরপরই দেশ দুটির মধ্যে বন্দিবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে বলে ওই বৈঠক থেকে জানানাে হয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা। লিখিত ওই চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের মধ্যে সব ‘যুদ্ধ-সংশ্লিষ্ট বন্দিবিনিময় করবে দুই দেশ। যে বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই জলঘোলা হচ্ছিল সরকারের অন্দরমহলে। এছাড়া ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে ইউক্রেনের আরও তিনটি অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের অঙ্গীকার করেছে দুই পক্ষ।
সেনা প্রত্যাহার না হলে যে কোন মতেই আলোচনার টেবিলে বসা হবে না তা এক প্রায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। তবে কোন তিনটি অঞ্চল, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি চুক্তিতে। চুক্তি স্বাক্ষরের চার মাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যালােচনায় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে দু’দেশের। এবার দেখার বিষয় তখন বিষয়টা কোন দিকে এগোয় এবং যুদ্ধ প্রিয় হিসাবে বিশেষ পরিচিতি লাভ করে বিশ্বে?