বাংলা হান্ট ডেস্ক :নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বার বার কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগছে কেন্দ্রের অন্যতম শক্তিশাালী বিরোধী দল কংগ্রেস। তাই তো কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বেশ কয়েকবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগে এই নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। উত্তরপ্রদেশের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিযে যে সমস্ত অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যাচ্ছে তারও বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এবার যেভাবে এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একপ্রকার মুখেই হাতাহাতি হচ্ছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে তাই তো কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
তবে শনিবার তিরুবুনন্তপুরমে একটি নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মিছিলে যোগ দিতে গিয়ে রাহুলকে চ্যালেঞ্জের জন্য অমিত শাহকে পাল্টা দিলেন কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেতা পি চিদম্বরম। তাই লোকসভা ও রাজ্যসভায় শাহের পুরো বিতর্কটি একবার ভোলে করে শোনা উচিত, কারণ তিনি সংসদের কোনো কক্ষে এই আইন নিয়ে একটা প্রশ্নেরও জবাব দেননি। পাশাপাশি আইএনএক্স মিডিয়া প্রতারনা মামলার অভিযুক্ত দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম আই আইন সবটাই ভুল বলেও মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে দেশের মধ্যে যেভাবে নাগরিকত্ব আইনের অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে তা নিয়ে বলতে গিয়ে পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘হাজার হাজার পড়ুয়া ও যুব সম্প্রদায় রাস্তায় নেমে এসেছে। রাস্তায় যারা নেমেছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, দলিত ও উপজাতি।”অর্থাত্ আন্দোলন একটি বিশেষ সম্প্রদায় করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সেই অভিযোগকে কার্যত নস্যাত করে দিলেন পি চিদম্বরম।
উল্লেখ্য, প্রথম থেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে মুসলিম ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী বলে বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি। কারণ, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে সমস্ত হিন্দু নিপীরিত মানুষ যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এদেশে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে ঘোষনা করে হয়েছে। তাতে স্থান নেই মুসলিমদের। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বার বার বলেছেন যেহেতু ওই তিনদেশে মুসলিমরা সংখ্যালঘু তাই তাঁদের জন্যই এই আইন।