নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার সাথে সাথেই সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ । রাস্তায় নেমেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সহ সাধারণ মানুষেরা। বিভিন্ন জায়গায় হিংসাত্মক প্রতিবাদও চলছে। বিজেপিশাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ গুলি চালায়। ফলে কিছু লোকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সারাদেশের মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরই প্রতিবাদে সারাদেশে আগুন জ্বলে ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় ।
সিপিআই (এমএল) রবিবার এরকমই একটি প্রতিবাদ মিছিল করে কলকাতার বাঘাযতীন মোড় থেকে ঢাকুরিয়া পর্যন্ত। মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছিল। মিছিলের মূল দাবী ছিল উওরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ। গোল বাঁধে মিছিল শেষে যোগীর কুশপুতুল পোড়াতে গেলে। এইসময় পুলিশ এসে বাঁধা দেয়। সিপিআই এর নেতাদের সাথে পুলিশের তর্কাতর্কি বাঁধে। তাদের অভিযোগ পুলিশ এসে কুশপুতুলের আগুণ নিভিয়ে সেটিকে নিয়ে তারা চলে যায়।
তাদের বক্তব্য তারা মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে করছিলো এবং লালবাজারের আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। তা সত্ত্বেও এমন হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন লিবারেশনের নেতা ব্যক্তিরা। গোটা দেশেই বিভিন্ন জায়গায় প্রধানমন্ত্রী মোদী, যোগী্ , অমিত শাহ র কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নেতৃত্বও এনআরসির বিপক্ষে। সেই জায়গা থেকে প্রশাসনের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করছে বিভিন্ন মহল।
লিবারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এইভাবে তাদের দমিয়ে রাখা যাবেনা। তারা সোমবার দুপুর ৩ টের সময় বিবাদী বাগের সামনে ফের বিক্ষোভ দেখাবে এবং যোগীর কুশপুতুল পোড়ানো হবে বলে কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।