বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধান বিরোধী তাই কোনও ভাবেই এই আইন মেনে নেওয়া হবে না এমনটাই অভিযোগ তুলে দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল চলেছে প্রায় এক মাস ধরে। এমনকি বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন রাজধানী শহরের সাধারণ মানুষ জন। বছরের প্রথম দিন অর্থাত্ বুধবার সেই প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত থাকল না।
তবে বুধবার ইন্ডিয়া গেটের সামনে সংবিধান রক্ষার ডাক দিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে শপথ নিলেন কয়েক শ জনগণ। এমনিতে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দিল্লি উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ অসম মেঘালয় ত্রিপুরা। আসতে আসতে সমস্ত জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ স্তিমিত হলেও নববর্ষের শুরুর দিন অন্য চিত্র দেখা গেল রাজধানী শহরে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি কোনও ভাবেই দেশে লাগু করা যাবে না তাই এই আইনের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে নাগরিকত্ব আইনের বয়কটের শপথ নিলেন কয়েক শ সাধারণ মানুষ।
যেহেতু বর্ষবরণের দিন ছিল তাই বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকটি মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়। তবে শুধুমাত্র ইন্ডিয়া গেট নয় পার্লামেন্ট স্ট্রিটে কনস্টিটিউশন ক্লাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আরও একটি গোষ্ঠী। যেহেতু এই আইনের মাধ্যমে 2014 ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যাঁরা বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন অর্থাত্ ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে এসেছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তাই এই আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় ইস্যুটিকে মাপকাঠিতে রাখা হয়েছে, মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি তুলেছেন সমালোচকরা।
তবে বর্ষবরণের দিন ইন্ডিয়া গেটে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন তাঁরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জাতীয় নাগরিক পঞ্জি এবং জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা একবাক্যে দাবি তুলেছেন সংবিধান বিরোধী ও ভারত বিরোধী শক্তির সঙ্গে কোনো রকম সহযোগিতা করবেন না তাঁরা, একই সঙ্গে তাদের আরও দাবি কোনও ভাবেই দেশবাসীকে লিঙ্গ জাতি বর্ণ ভাষা সম্প্রদায় বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য নিতে দেবেন না।