বাংলা হান্ট ডেস্ক : নতুন বছরেই শুরু হবে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রের থেকে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জির ওপর এই এনপিআর ইস্যু যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যদিও নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি নিয়ে গাদা গাদা অভিযোগ রয়েছে তার উপরে এনপিআর অর্থাত্ জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টারে যে সমস্ত নতুন নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়েছে তা নিয়েও কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের শেষ নেই।তার পরে আবার যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ধর্মের উত্সবের তালিকা, সদ্যই এনপিআর ম্যানুয়াল প্রকাশিত হয়েছে যেখানে হিন্দু খ্রিস্টান সহ অন্যান্য ধর্মের উত্সবের কথা উল্লেখ থাকলেও বাদ রয়েছে মুসলিমদের উত্সবের তালিকা।
যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই তালিকায় মুসলিমদের উত্সব বাদ থাকা নিয়ে জোর জল্পনা উঠেছিল কিন্তু নতুন বছরের শুরুতেই ম্যানুয়াল প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলিমদের কোনো ধর্মীয় উত্সবে উল্লেখ না থাকায় জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন অন্দরে। যদিও এই প্রথমবার নয় এর আগে যখন ইউপিএ জমানায় মনমোহন সিংহ এর আমলে এনপিআর ম্যানুয়াল প্রকাশিত হয়েছিল তাতেও কিন্তু মুসলিমদের ধর্মীয় উত্সবের কথা উল্লেখ ছিল না।
37 পাতার যে এনবিআর ম্যানুয়াল প্রকাশিত হয়েছে সেখানে হিন্দু ছাড়াও বৌদ্ধ খ্রিস্টান শিখ ইত্যাদি বিভিন্ন ধর্মের উত্সব ও সময়সূচি উল্লেখ করা থাকলেও ধর্মীয় দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুসলিমদের উত্সবের কোনও উল্লেখ না থাকায় বিষয়টির মধ্যে ধর্মীয় বৈষম্য দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
যেহেতু নতুন বছরের শুরু থেকেই এনপিআর নিয়ে আবারও কেন্দ্র কেন্দ্র ঝাঁপাতে চাইছে তা এক প্রকার নিশ্চিত একই সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে আগে থেকেই চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে গোটা দেশে এনবিআরের তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করবে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ম্যান বলে কেন মুসলিমদের উত্সব রাখা হল না? এই নিয়ে তো প্রশ্ন উঠছেই।
তাহলে কি আবারও ধর্মীয় বিভাজনের দিকটি বড় করে দেখা হচ্ছে? এ নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে তেমনই কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সমরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মীয় উত্সবের বিষয়টি ধর্মীয় বিভাজন নয়? এমন প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি ম্যানুয়ালে কেন মুসলিমদের ধর্মের উল্লেখ থাকবে না, তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় বলেও মনে করছেন তিনি।