বাংলা হান্ট ডেস্ক :এমনিতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিরোধিতার আগুন যে ভাবে রাজ্য জুড়ে উস্কে উঠেছিল তাঁর জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত দুই সপ্তাহ আগে রাজ্যের ছটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তবে এবার আবারও শনিবার বারাসত ও বসিরহাট এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আসলে যেভাবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে তাই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে এখন সরকারি সিদ্ধান্ত না পাওয়া অবধি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে সরকারি নির্দেশের কথা উল্লেখ করে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার বিষয়ে অ্যালার্ট করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল বেশ কয়েকটি জায়গায়। তবে যে ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে তাতে কাজকর্মে অনেক সমস্যা হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর, এমনকি বেশির ভাগ সরকারি কার্যালয় গুলিতে কাজকর্ম করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই সরকারি নির্দেশ অনুসারে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল, যদিও এই প্রথমবার নয় রাজ্যের আগত সংশোধনী আইন এবং নাগরিক পঞ্জির জেরে যে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল তার জন্য মালদহ মুর্শিদাবাদ হাওড়া উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসত বসিরহাট দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত জাতিক কোনোভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি না হয় তার জন্যই আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু গত বছর ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়নের পর থেকে রাজ্য জুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল তার জেরে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয় অসম উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল সরকার।