বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে স্বচ্ছ ভারত অভিযান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। 2014 সালে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের সমস্ত বড় বড় এবং ছোট শহরগুলি পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই তো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই প্রকল্পের আওতায় কাজও শুরু হয়েছে কিন্তু এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এল দেশের সবথেকে নোংরা ও পরিষ্কার শহরের নাম। আর এই তালিকায় নাম জুড়ল শহর কলকাতার।
না পরিষ্কার হিসেবে নয় মোদী সরকারের সমীক্ষায় সব থেকে পরিষ্কার শহরের তকমা পেল ইন্দোর এবং সব থেকে অপরিষ্কার শহরের শিরোপা উঠল কলকাতার মাথায়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন এবং বিশেষ করে শহর কলকাতার সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে একাধিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছেন। ত্রিফলা বাতি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটের পাশে ছোট ছোট পার্ক কিংবা বড়সড় পার্ক এসবের পাশাপাশিজেলা সদর শহর এবং গোটা রাজ্য সব জায়গাকেই নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে আর সেই তালিকায় তো অবশ্যই রয়েছে তিলোত্তমা কলকাতা।
এক দিকে রাজারহাট নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা সরণি থেকে শুরু করে বিশ্ব বাংলা গেট এবং সর্বত্রই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। একেবারে ঢেলে সাজানো হয়েছে শহর কলকাতাকে। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষায় এবং পরিচ্ছন্নতার বিচারে সেই মহানগরী কলকাতাকে পিছনে রাখা হয়েছে এই রাজনৈতিক টানাপড়েন নাকি অন্য কিছু? যা নিয়ে তো জোর বিতর্ক।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমস্ত শহরে জনসংখ্যা দশ লক্ষ বেশি সেই শহরগুলিকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল আর তাতেই দেখা গিয়েছে শহর কলকাতা নোংরার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। আর এই নিয়ে রাজ্য জুড়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে, অনেকেই বলছেন যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে মাঠে নেমেছেন তাই তো শহর কলকাতাকে অপরিচ্ছন্ন শহরের তালিকায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।