বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের যতগুলি শহর আছে তাদের মধ্যে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে কলকাতা অগ্রগন্য। প্রায় তিনশ বছর
জব চার্ণক এই শহর পত্তন করেছেন দাবি করা হলেও মনে করা হয় এই শহরের বয়স আরো অনেক বেশী। বিপ্রদাস পিপিলাইয়ের মনসা মঙ্গল সহ অন্যান্য অনেক পুরোনো গ্রন্থে কলকাতার উল্লেখ মেলে। ব্রিটিশ শাসনের প্রথমার্ধে কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। এখনো ভারতের প্রধান চারটি শহরের মধ্যে একটি কলকাতা, যার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে আছে ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার কলকাতার চারটি বিখ্যাত স্থাপত্যের আদল হুবহু একই রেখে নতুনভাবে সাজিয়ে উপহার দিতে চলেছেন শহরবাসীকে।
ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং,
ডালহৌসিতে অবস্থিত এই ইরানিয় স্থাপত্য শৈলিতে নির্মিত এই বাড়িটির বয়স ২০০ বছরের বেশী। এই বাড়ি জুড়ে এখন বাংলার “ঘরে বাইরে”। ৫০০-র বেশি আর্টওয়ার্কে সাজানো হয়েছে বাড়িটি।
বেলবেডিয়ার বিল্ডিং
ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের বাড়ি ছিল। বেলভেডের হাউসে বাংলার জাতীয়তাবাদে অগ্রনী বিভিন্ন ব্যক্তিত্বদের নানা অজানা তথ্য ও ছবি থাকছে এই বাড়িতে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল
মহারানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ এই স্থাপত্য সারা বিশ্বের অনেকেই ওয়াকিবহল। এই ব্রিটিশ স্থাপত্যে অনেকগুলি গ্যালারি বর্তমান। যোগ হবে আরও ৩টি। থাকবে স্বদেশী আন্দোলন, রামায়ণের ঘটনা সহ নানা স্থাপত্য।
মেটক্যাফে বিল্ডিং
গভর্নর জেনারেল মেটক্যাফে স্বল্প সময়ের শাসনেই স্থান করে নিয়েছেন দেশের ইতিহাসে। এই ব্রিটিশ শাসক ভারত দরদী ছিলেন। মেটক্যাফ হাউসে থাকছে ‘আমি কলকাতা এগজিবিশন।’সেখানে বাংলা চলচিত্রের ১০০ বছরের প্রদর্শনীও হবে।